পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব থামানোই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলনেত্রীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে উদ্যোগী হতে হল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে, দলে অন্তর্কলহ রোধে নেতা, নেত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Updated By: Apr 7, 2012, 08:01 PM IST

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে উদ্যোগী হতে হল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে, দলে অন্তর্কলহ রোধে নেতা-নেত্রীদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ইস্যুই।
এর পাশাপাশি নিজের নিজের এলাকায় আরও বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন বিধায়ককে। বৈঠকে নাম করে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পুকুর ভরাট ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মেয়রকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বোপরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক হয়ে উঠল কংগ্রেসকে কটাক্ষের মঞ্চ।
বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, ``তৃণমূল কংগ্রেস না থাকলে তাদের সহযোগী দল ৬টি লোকসভা আসনও পেত না।`` তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রে ইউপিএ-টু`র 'রিমোট কন্ট্রোল' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের হাতেই রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্যে এগোবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুল রায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রণকৌশলের পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতিরা।  

 

.