তৃণমূলের অন্দরে এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি এতটা দরকার ছিল?

প্রথম লড়াই শেষ। তৃণমূলের ঘরে এখন শুরু হয়েছে দ্বিতীয় লড়াই।  

Updated By: Oct 11, 2015, 03:39 PM IST
তৃণমূলের অন্দরে এখন প্রশ্ন, সত্যিই কি এতটা দরকার ছিল?

ওয়েব ডেস্ক: প্রথম লড়াই শেষ। তৃণমূলের ঘরে এখন শুরু হয়েছে দ্বিতীয় লড়াই।  

গৌতম দেবের প্রশ্নটাই ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি এতটা দরকার ছিল?

সিপিএম থেকে আসা তাপস চ্যাটার্জি। এমনই তাঁর দাপট যে তাঁর বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট কোনও বুথে ২টি কোনও বুথে আবার ১৩টা ভোট পেয়েছে। সবমিলিয়ে বিরোধীদের কপালে জুটেছে ৬৫৪টি ভোট। তৃণমূল শিবিরের প্রশ্ন সত্যিই কি দরকার ছিল?

সত্যিই কি দরকার ছিল?

কৃষ্ণা চ্যাটার্জি অথবা সব্যসাচী দত্তের ক্ষেত্রেও উঠছে একই প্রশ্ন। জেতা নিশ্চিত করতে ৭৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পেতে হবে তাঁদের? একটি বুথে ১২০০ ভোটারের মধ্যে মাত্র নজন CPM সমর্থক? মানতে পারছে না তৃণমূলের অভ্যন্তরের অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি দরকার ছিল?

সত্যিই কি দরকার ছিল?

বহিরাগতদের নিয়ে তাণ্ডব চালানোর সব দায়  সুজিত বসুর ওপর চাপিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তানিয়ে গোসাঁয়  সবুজ আবীর খেলায় দেখা যায়নি তাঁকে।তিনি ছাড়া আর কোন কোন নেতা বহিরাগতদের নিয়ে এসেছিলেন তারও তালিকা তৈরি করে পাঠাচ্ছেন নেত্রীর কাছে। দলের অন্দরে প্রশ্ন সত্যি কি দরকার ছিল?

সত্যিই কি দরকার ছিল?

প্রশ্নটা সাংবাদিক সম্মেলন থেকে উঠছে সল্টলেকের অলিতেগলিতেও। ভোট দিতে না পারা সাধারণ মানুষও তুলছেন এই প্রশ্ন। প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে, পুনর্নির্বাচনে তৃণমূলের এত ভোট পাওয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে সবাই যদি ভোট দিতে পারতেন কী হত?

সত্যিই কি দরকার ছিল?

অনেক প্রশ্নই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে। এরমধ্যে নতুন করে উপদ্রব মেয়র কে হবেন তা নিয়ে ঘরের লড়াই। দৌড়ে রয়েছেন অনেকেই---

কৃষ্ণা চক্রবর্তী

 প্লাস পয়েন্ট
-------
৪ বছরের অভিজ্ঞতা
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ
 
মাইনাস পয়েন্ট
---------
তৃণমূলের বাকিদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক
পুরপ্রধান পদে থাকার সময় জড়িয়েছেন বিতর্কে
 
-----

সব্যসাচী দত্ত
প্লাস পয়েন্ট
----
বিধায়ক থাকার সুবাদে  রাজারহাট-বিধাননগর দু জায়গাতেই স্বচ্ছন্দ্য

সল্টলেকের বুকে যথেষ্ট প্রভাবশালী

মাইনাস পয়েন্ট
----
একদা মুকুল-ঘনিষ্ঠ
নেতৃত্বের কাছে আস্থাশীল নয়

তাপস চ্যাটার্জি

প্লাস পয়েন্ট
দক্ষ সংগঠক
অভিষেকের হাত ধরে দলবদল

মাইনাস পয়েন্ট
তৃণমূল একেবারেই নতুন
তৃণমূল কর্মীদের অপছন্দের

এই অবস্থায় মেয়র বাছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিধাননগর থেকে মেয়র হলে ডেপুটি মেয়র হবেন রাজারহাট থেকে। সেক্ষেত্রে, সব্যসাচী, তাপস নাকি কৃষ্ণা-তাপস? তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ফর্মুলা। তবে, সবকিছুর পরও প্রশ্নটা উঠছেই ...

সত্যিই কি দরকার ছিল?

কৃষ্ণা চক্রবর্তী (২৯ নং ওয়ার্ড)

২৯৫ নং বুথ তৃণমূল-৪২৭, বামফ্রন্ট-২১
২৯৬ নং বুথ তৃণমূল-৩৭৮, বামফ্রন্ট-৩৮
২৯৮ নং বুথ তৃণমূল-৩৬৫, বামফ্রন্ট-৯১
৩০২ নং বুথ তৃণমূল-২৮১, বামফ্রন্ট-৮৯

তাপস চ্যাটার্জি (৩নং ওয়ার্ড)

৩০ নং বুথ তৃণমূল-৮৩৭, বামফ্রন্ট-০২
২৯ নং বুথ তৃণমূল-৭৫৪, বামফ্রন্ট-১৩
২১ নং বুথ তৃণমূল-৮১৩, বামফ্রন্ট-২৯
২৬ নং বুথ তৃণমূল-৯০৮, বামফ্রন্ট-৬১

৩ নং ওয়ার্ডে বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে ভোট পেয়েছে ৬৫৪টি

সব্যসাচী দত্ত (৩১ নং ওয়ার্ড)

৩২২ নং বুথ তৃণমূল-৩১০, বামফ্রন্ট-০৯
৩২৭ নং বুথ তৃণমূল-৫৪৭, বামফ্রন্ট-২০
৩২৮ নং বুথ তৃণমূল-৫১৬, বামফ্রন্ট-২১

এছাড়াও নজরকাড়া কিছু প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট

ডাম্পি মণ্ডল (৪ নং ওয়ার্ড)

৩১ নং বুথ তৃণমূল-৫৯৩, বামফ্রন্ট-০৬
৩২ নং বুথ তৃণমূল-৮৪৯, বামফ্রন্ট-০৭
৪০ নং বুথ তৃণমূল-৭৩৬, বামফ্রন্ট-১১
৪১ নং বুথ তৃণমূল-৯৩৩, বামফ্রন্ট-১৩

 

Tags:
.