আরশোলার দখলে এসএসকেএম

হাসপাতাল না Joe`s Apartment? সার্জিকাল ওয়ার্ডের কোণে কোণে থিক থিক করছে আরশোলা। উড়ে বেড়াচ্ছে মাছি। গোটা চত্ত্বর জুড়ে পোকামাকড়ের বাড়বাড়ন্ত। গত পাঁচ মাস ধরে এই ছবিটা রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের।

Updated By: Jun 1, 2012, 08:19 PM IST

হাসপাতাল না Joe`s Apartment? সার্জিকাল ওয়ার্ডের কোণে কোণে থিক থিক করছে আরশোলা। উড়ে বেড়াচ্ছে মাছি। গোটা চত্ত্বর জুড়ে পোকামাকড়ের বাড়বাড়ন্ত। গত পাঁচ মাস ধরে এই ছবিটা রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের। এক নজরে ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউডি মিউজিক্যাল কমেডি সিনেমা Joe`s Apartment-এর কথা মনে পড়তে বাধ্য। সংক্রমণের আশঙ্কা নিয়েই হাসপাতালে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।
অস্ত্রোপচার হওয়ার পর সাধারণত এই ওয়ার্ডেই রাখা হয় রোগীদের। কিন্তু এসএসকেএমের সার্জিকাল ওয়ার্ডের রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে আরশোলা বাহিনী। সিনেমায় ঠিক যেমন তাদের মৌরসিপাট্টা ছিল জো-র ঘরটিতে। বিছানার তোষক কিংবা পথ্য রাখার আলমারি, সবই দখল নিয়েছে পতঙ্গের দল। রোগীদের ওষুধ এবং খাবার রাখার জো নেই। তাতেও হানা দিচ্ছে আরশোলার দল। এমনকি অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের করা ব্যান্ডেজেও বাসা বাঁধতে চাইছে আরশোলারা। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছারপোকার উপদ্রব।   
 

শুধু সার্জিকাল ওয়ার্ড নয়, পোকামাকড়ের উপদ্রবে অতিষ্ট এসএসকেএমের অন্য বিভাগের রোগীরাও। কিন্তু কেন বেহাল স্বাস্থ্য এই ওয়ার্ডগুলির? হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ ধরে বন্ধ হাসপাতালের কীট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।

সেন্ট্রাল ওয়ার হাউজিং কর্পোরেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে হাসপাতালের কীট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সংস্থা এ বছরের গোড়ায় শেষ বারের জন্য কীটনাশক ছড়িয়েছিল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। তারপর থেকে কাজ বন্ধ।

কীট নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে হাসপাতাল। নিয়মিতই টাকা পান কীট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। তবুও এই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের আসা যাওয়াটা অনিয়মিত। সে জন্য মাঝে মধ্যেই এরকম সমস্যা। এমনটাই অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল ফেরাতে চাইছেন, তখন বেহাল স্বাস্থ্যের ছবি রাজ্যের সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের অন্দরে।

.