বায়োডাটায় আপনার দেওয়া সব তথ্য সত্যি তো? নাহলেই কিন্তু বিপদ...

একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে বেসরকারি সংস্থায় চাকরিপ্রার্থী প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন নিজেদের বায়োডাটায় মিথ্যা তথ্য দেন। কখনও তা শিক্ষা সংক্রান্ত, আবার কখনও তা আগের সংস্থায় নিজের পোস্ট ও বেতন সংক্রান্ত তথ্য।

Updated By: Nov 16, 2017, 05:35 PM IST
বায়োডাটায় আপনার দেওয়া সব তথ্য সত্যি তো? নাহলেই কিন্তু বিপদ...

নিজস্ব প্রতিবেদন : আপনি কি চাকরি খুঁজছেন? একাধিক সংস্থায় নিজের বায়োডাটা জমা দিচ্ছেন? প্রফেশনাল বায়োডাটা তৈরি করা সংস্থা থেকে অত্যন্ত স্মার্ট লুক দিয়ে তৈরি করিয়েছেন সেটি? কিন্তু তাতে যে তথ্য আপনি দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সত্যি তো? ভেবে দেখুন! একটি ছোট্টো ভুল কিন্তু এবার আপনার ভবিষ্যত্ অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারে।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে বেসরকারি সংস্থায় চাকরিপ্রার্থী প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন নিজেদের বায়োডাটায় মিথ্যা তথ্য দেন। কখনও তা শিক্ষা সংক্রান্ত, আবার কখনও তা আগের সংস্থায় নিজের পোস্ট ও বেতন সংক্রান্ত তথ্য। শুধুমাত্র ২০১৬-১৭-য় এই মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি ৪৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে অথব্রিজ নামে একটি বহুজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে। এতদিন পর্যন্ত এই সংস্থাগুলি সেই সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখত না। এমনকি কোনও বিশেষ পদ্ধতিও ছিল না যার মাধ্যমে একজন প্রার্থীর সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব। আর তার ফলে সমস্যার মুখে আসছিল সংস্থাগুলি। অথব্রিজের সিইও অজয় ত্রেহান বলেন, "এই ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরিতে ঢুকে কর্মীরা শুধু নিজেদের ভবিষ্যত্ই খারাপ করছে তাই নয়, সংস্থার মানও নষ্ট করছেন।"

এখন থেকে যাতে কোনও চাকরিপ্রার্থী নিজেদের বায়োডাটাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন না করতে পারেন তার জন্য আনা হচ্ছে বিশেষ পদ্ধতি। এই নতুন পদ্ধতিতে, অতি সহজেই একজন চাকরিপ্রার্থীর বায়োডাটাতে দেওয়া তথ্যের সত্যতা জানতে পারবে সংস্থাগুলি। যদি সেখানে কোনও অসঙ্গতি মেলে, তাহলে পত্রপাট বিদায় করে দেওয়া হবে সেই প্রার্থীকে। এমনকি, কাজে যোগ দেওয়ার পরও তদন্তে যদি উঠে আসে সেই কর্মীর দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে, তাহলেও তিনি হারাতে পারেন নিজের চাকরিটি।

আরও পড়ুন- বোর্নভিটায় উপকার পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, ঋত্বিক, কাজল...

.