মথুরা আসুন, দেখে যান হোলি খেলা কাকে বলে

হোলি মানেই রঙের খেলা, ভাঙের নেশা। তবে মথুরার হোলি মানে এর থেকেও আরও অনেক বেশি কিছু। জি নিউজের প্রতিনিধি অভরিল ব্রিগ্যাঞ্জাকে কৃষ্ণের জন্মস্থানের হোলির গল্পো শোনালেন মায়াঙ্ক সোনি।

Updated By: Mar 2, 2015, 06:44 PM IST
মথুরা আসুন, দেখে যান হোলি খেলা কাকে বলে

ওয়েব ডেস্ক: হোলি মানেই রঙের খেলা, ভাঙের নেশা। তবে মথুরার হোলি মানে এর থেকেও আরও অনেক বেশি কিছু। জি নিউজের প্রতিনিধি অভরিল ব্রিগ্যাঞ্জাকে কৃষ্ণের জন্মস্থানের হোলির গল্পো শোনালেন মায়াঙ্ক সোনি।

এইদিন প্রতিবেশী শিশুদের হঠাত্ ছোঁড়া বেলুনে কি রাগ হয় আপনার? তাহলে অবশ্যই আসুন মথুরায়। দেখে যান হোলির এক সপ্তাহ আগে থেকেই কীভাবে আনন্দে মেতে ওঠে মথুরাবাসী। মথুরার ঘাট ধরে রয়েছে সারি সারি ছোট ছোট মন্দির। হোলির সময় সকাল ৮টা নাগাদ যদি ঘুরে দেখেন এই এলাকা, তবে দেখতে পাবেন ভাঙ গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কীভাবে চলে হোলির প্রস্তুতি।

মথুরার হোলি মানেই লাঠমার উত্‍সব। মথুরার দুই গ্রাম বরসনা ও নন্দগাঁও পরিচিত রাধা-কৃষ্ণের গ্রাম নামে। এই দুই গ্রামের মহিলাদের মধ্যে খেলা হয় লাঠমার হোলি। রঙিন পোশাকে সুসজ্জিতা মহিলারা লাঠি নিয়ে মারতে যান নন্দগাঁওয়ের পুরুষদের। ঢাল নিয়ে নিজেদের বাঁচান পুরুষরা। বরসনার পথ ধরে হাঁটলে দেখতে পাবেন লাড্ডু, ফুলবৃষ্টি। প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে লাড্ডু ও ফুল ভরে একে অপরতে ছোঁড়াও বহু পুরনো রীতি।
বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারি মন্দিরে প্রসাদের সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশ্যে রঙিন জল ও আশীর্বাদি রঙ ছোঁড়েন মন্দিরে পুরোহিত।

হোলিকা দহনের রাতে অন্তত ১০টি গাড়ি সাজানো হয় রাধা, কৃষ্ণের মূর্তিতে। সারা মথুরা প্রদক্ষিণ করে সেই গাড়ি। রঙ ছুঁড়ে রাধা, কৃষ্ণকে অভ্যর্থনা জানায় মথুরাবাসী। একটু এগোলেই দেখতে পাবেন হুরুঙ্গা উত্‍সব। দাউজি মন্দিরের হুরুঙ্গা উত্‍সবে মন্দির প্রাঙ্গনে ছড়ানো হয় কমলা রঙের জল। মহিলারা পুরুষদের জামা ছিঁড়ে ডুবিয়ে দেন সেই জলে।
 
টানা এক সপ্তাহ ধরে আনন্দে মেতে ওঠে মথুরা, বৃন্দাবন।

ছবি সৌজন্যে: মায়াঙ্ক সোনি

 

.