সাংবাদিককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা: 'প্রকৃতি আর ভাগ্যের বিরুদ্ধে লড়া যায় না', মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য বাড়ালো ক্ষোভ

সাংবাদিককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্যেরই এক মন্ত্রী। অন্যদিকে, এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুললেন আর এক মন্ত্রী। বললেন, ''প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়া যায় না।''

Updated By: Jun 15, 2015, 12:14 PM IST
 সাংবাদিককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা: 'প্রকৃতি আর ভাগ্যের বিরুদ্ধে লড়া যায় না', মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য বাড়ালো ক্ষোভ

ওয়েব ডেস্ক: সাংবাদিককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্যেরই এক মন্ত্রী। অন্যদিকে, এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুললেন আর এক মন্ত্রী। বললেন, ''প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়া যায় না।''

রবিবার উত্তরপ্রদেশের হর্টিকালচার মন্ত্রী এলাহাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন ''কিছু কিছু ঘটনা ভাগ্য আর প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই ঘটে।''

তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্য সাধারণ মানুষের মনে উত্তরপ্রদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিযোগ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জগেন্দ্র সিংকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত মন্ত্রী রাম মূর্তি বর্মাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে অখিলেশ যাদবের সরকার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর প্রদেশে ডেয়ারি মন্ত্রী রাম মূর্তির বিরোধীতা করে কিছু লিখেছিলেন জগেন্দ্র সিং। কেন ডেয়ারি মন্ত্রীর বিরোধীতা করেছেন জগেন্দ্র তা নিয়ে তদন্ত করতে পয়লা জুন তাঁর বাড়ি যায় পুলিস বাহিনী। অভিযোগ সেখানে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধ অবস্থায় জগেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ জুন হাসতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে ওই অবস্থাতেই জগেন্দ্র জানান রাম মূর্তি বর্মার গুণ্ডারা তাঁকে পুড়িয়ে মারার থেকে মারধর করতে পারত। তিনি প্রকাশ রাইয়ের নামেও অভিযোগ করেন। জগেন্দ্রর বয়ানের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই পড়ে যায়।

ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করে এই মুহূর্তে অবস্থান চালাচ্ছে জগেন্দ্রর পরিবার। আজ সাংবাদিকদের একটি অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন।

এদিকে, এফআইআর-এ নাম থাকার পর থেকেই 'রহস্যজনকভাবে' খোঁজ মিলছে না উত্তরপ্রদেশের নিম্ন শ্রেণী উন্নয়ন মন্ত্রী রাম মূর্তি বর্মার।

শাহজাহপুরে সাংবাদিক জগেন্দ্র সিংকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তর প্রদেশ সরকার শনিবার সাসপেন্ড করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায়  অভিযুক্ত ৫ পুলিসকর্মীকে।

.