রাজার জামিনের রায় সুরক্ষিত রাখল আদালত

টুজি কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত আন্দিমুথু রাজার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করল সিবিআই। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে এ রাজার জামিনের আদালতের শুনানি হয়।

Updated By: May 11, 2012, 10:46 AM IST

টুজি কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত আন্দিমুথু রাজার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করল সিবিআই। শুক্রবার দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে এ রাজার জামিনের আদালতের শুনানি হয়। সেখানে প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রীর জামিনের ওপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রায় সুরক্ষিত রেখেছে আদালত।  ফলে গত ১৫ মাস ধরে জেলবন্দি প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রীর তিহারবাসের মেয়াদ শেষ হবে কি না, তার ফয়সলা হল না শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতিতে সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে একমাত্র এ রাজাই এখনও জামিন পাননি। ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ি, কলাইঙ্গার টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরদকুমার, ডিবি রিয়েলিটি গ্রুপের প্রধান শাহিদ উসমান বালওয়া, বলিউড প্রযোজক করিম মোরানি-সহ প্রধান অভিযুক্তদের সকলেই এখন জেলের বাইরে রয়েছেন।
বুধবার টুজি কেলেঙ্কারির অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত, প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। আর শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরই দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানান স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত আন্দিমুথু রাজা। জামিনের আবেদনে এ রাজা বলেন, টুজি কাণ্ডে অভিযুক্ত বাকি ১৩ জন ইতিমধ্যেই জামিন পাওয়ায় তাঁর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিক আদালত। নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন তিনি। টুজি মামলার চার্জশিট ও বিভিন্ন নথি ইতিমধ্যেই আদালতে জমা পড়ায় জেলের বাইরে এলেও প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রীর পক্ষে তাতে কোনও রদবদল করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন রাজার আইনজীবীরা। রাজার জামিনের আবেদনের ব্যাপারে সিবিআই-এর কোনও মতামত রয়েছে কি না, শুক্রবার তা জানাতে বলেছিলেন বিচারক ও পি সাইনি। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এ রাজাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর থেকেই জেলে রয়েছেন ডিএমকে`র এই দলিত নেতা।
শুধু সিদ্ধার্থ বেহুরাকে জামিন দেওয়াই নয়, বিচারপতি জি এস সিংভি এবং বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বুধবার এ রাজার প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব আর কে চান্দোলিয়াকে জামিন দেওয়ার সিবিআই আদালতের সিদ্ধান্তও অনুমোদন করে। প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর চান্দোলিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনি। সে দিন বিকেলেই তিহার জেল থেকে মুক্তি পান চান্দোলিয়া। পরের দিন সিবিআই আদালতের এই সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিল্লি হাইকোর্ট। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আর কে চান্দোলিয়া সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর স্পেকট্রাম কাণ্ডে এ রাজা, সিদ্ধার্থ বেহুরা, আর কে চান্দোলিয়া, ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ি-সহ ১৪ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেয় পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। টুজি কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৩ টি টেলিকমসংস্থা রিলায়েন্স টেলিকম, সোয়ান টেলিকম ও ইউনিটেক ওয়ারলেসের বিরুদ্ধেও চার্জ গঠন করতে নির্দেশ দেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনি।

.