বিধানসভায় পেশ `আদর্শ` তদন্ত রিপোর্ট

কারগিল যুদ্ধের বীর সেনানীদের জন্য তৈরি আদর্শ আবাসনের জমির মালিকানা আদতে ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে। শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পেশ করা বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল এ কথা। দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে এ পাতিল এবং পি সুব্রহ্ম্যণমকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মোট ১৩টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

Updated By: Apr 17, 2012, 06:24 PM IST

কারগিল যুদ্ধের বীর সেনানীদের জন্য তৈরি আদর্শ আবাসনের জমির মালিকানা আদতে ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে। শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পেশ করা বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল এ কথা। দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে এ পাতিল এবং পি সুব্রহ্ম্যণমকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে মোট ১৩টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। মুম্বইয়ের কোলবায় ৩১ তলা আবাসনটি কারগিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা ও কারগিল শহীদদের বিধবাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি সেনাবাহিনীর। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই দাবি কার্যত নস্যাত্‍ করে দু`সদস্যের তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, কাগজে-কলমে আরব সাগরের তীরের স্কাইস্ক্র্যাপারের মালিকানা ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের হাতে। আর তাই ফ্ল্যাট বণ্টনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রাধান্য থাকাই ছিল স্বাভাবিক।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ আদর্শ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট মুম্বই হাইকোর্টে পেশ করে সিবিআই ও এনফোসর্মেন্ট দফতর। পাশাপাশি ওই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের করে সিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ এবং বিলাসরাও দেশমুখ। প্রাক্তন সেনাদের জন্য আদর্শ আবাসন তৈরি করা হলেও নিজেদের আত্মীয়দের তা বিধি বহির্ভূতভাবে পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার কারণেই ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল অশোক চহ্বানকে। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সাল থেকেই কোলবার আদর্শ আবাসন প্লট নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত নব্বইয়ের দশকের শেষে ওই জমিতে একটি বহুতল নির্মাণের বিষয়ে দু`তরফের সমঝোতা হয়।

.