অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদীর

অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়ানোর আশঙ্কা। 

Updated By: Oct 19, 2018, 10:54 PM IST
অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্জাবের অমৃতসরে রাবণ দহনের অনুষ্ঠানে বিপত্তি। ট্রেনের ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা। সবরকম সহযোগিতার জন্য 0183-2223171, 0183-2564485 হেল্পলাইন খুলেছে রেল।

শুক্রবার অমৃতসরের চৌরাচৌরি বাজারের কাছে রেললাইনের ধারেই চলছিল রাবণ দহনের অনুষ্ঠান। রাবণ দহনের পর আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে রেললাইনের দিকে ছুটে যায় ভিড়। সেই সময় সেখান দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে যাচ্ছিল অমৃতসর এক্সপ্রেস। ওই ট্রেন থেকে বাঁচতে গিয়ে পাশে সরে যান অনেকে। সেখানে তখন আবার জলন্ধর সিটি গামী ডিএমইউ। তখনই ট্রেনের ধাক্কায় শেষ সব কিছু। জানা যাচ্ছে এই সময় রেল গেটও বন্ধ ছিল। রেল লাইনের পাশে পাঁচিল থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে পড়ে। 

ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লিখেছেন, ''অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। হতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। আধিকারিকদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছি''।      

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া,''অমৃতসরে দশেরার অনুষ্ঠানে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। শোকপ্রকাশের কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি''।    

রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ''অমৃতসরে ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে আঘাত পেয়েছি। পীড়িত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য রাজ্য সরকার ও কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধ করছি''।

পুলিস জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৬০ ছাড়াতে পারে। জখম হয়েছেন সত্তরের বেশি মানুষ। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং। একইসঙ্গে ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আহতদের চিকিত্সার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করবে বলে ঘোষণা করেছেন অমরেন্দ্র।   

ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মৃতদের পরিবার পিছু ২লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী।        

প্রশ্ন উঠছে প্রতি বছরই যখন অনুষ্ঠান হয়, তখন আগাম সতর্কতা কেন নেয়নি পুলিস আর রেল? অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে এত বড় দুর্ঘটনা সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর স্ত্রী। অভিযোগ ঘটনার পরেই এলাকা ছাড়েন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতবড় দুর্ঘটনার পর নভজ্যোতপত্নী উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেননি, উল্টে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে সিধুপত্নী দাবি করেছেন, রাবণ দহনের পর অনুষ্ঠানস্থল ছাড়েন তিনি। তারপর ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবছর দশেরার অনুষ্ঠান হয়। এনিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নভজ্যোত কৌর সিধু।

স্থানীয়দের দাবি,প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই রেললাইনের পাশের মাঠে রাবণ দহন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। রেললাইনের দিকে লাগানো হয়েছিল এলইডি। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- রাবণ দহনের ভিড়ে আচমকা তীব্র গতিতে ছুটে এল ট্রেন, দেখুন মর্মান্তিক ভিডিও

.