সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসির পতনের পর মিশরে শুরু সংঘর্ষ

মিশরে গণ অভ্যুত্থানের পরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল সংঘর্ষ। মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে বিদ্রোহী জনতাদের। ক মাসে আগেই যেসব জনতারা আরব বসন্ত আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজ পুঁতে মুরসিকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, তারাই আজ তাঁকে উত্‍খাত করার পর উত্‍সবে মাতলেন। বুধবার রাতে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে কার্যত উত্‍খাত করে সেনাবাহিনী। এরপরই তাহরির স্কোয়ারে রাতভর চলে উত্‍সব।

Updated By: Jul 4, 2013, 09:11 AM IST

মিশরে গণ অভ্যুত্থানের পরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল সংঘর্ষ। মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়েছে বিদ্রোহী জনতাদের। ক মাসে আগেই যেসব জনতারা আরব বসন্ত আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজ পুঁতে মুরসিকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, তারাই আজ তাঁকে উত্‍খাত করার পর উত্‍সবে মাতলেন। বুধবার রাতে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে কার্যত উত্‍খাত করে সেনাবাহিনী। এরপরই তাহরির স্কোয়ারে রাতভর চলে উত্‍সব।
আতসবাজির আলোয় গোটা মিশর উত্‍সব নগরীতে পরিণত হয়।
মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশের সংবিধানকেও অকার্যকর করা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মুরসিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতাদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেনাবাহিনী। মিশরের বিভিন্ন অংশ কার্যত বন‍্ধ-এর চেহারা নিয়েছে। বন্ধ যানবাহন চলাচল, দোকানপাটও খোলা নেই, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে সংঘর্ষের খবর। হোসনি মুবারকের একনায়কতন্ত্র শেষ হওয়ার দু`বছর পরে মিশর দেখল ফের সেনা অভ্যুত্থান। মুরসির পদত্যাগ। গণ-অভ্যুত্থান।
মুসরিকে গতিচুত্য করার ঘটনাটা ছিল বেশ নাটকীয়। কদিন ধরেই মুসরি বলছিলেন, জনমতের সামনে মাথা নিচু করব না৷ কারণ আমি বৈধ শাসক। এই জেদটা বিরোধীদের আন্দোলনে আরও বাড়িয়ে দেয়। বুধবার রাতে সবার আগে মিশরের জাতীয় টেলিভিশন ভবনের দখল নেন সেনা সদস্যরা। সাঁজোয়া যান রাজধানী কায়রোর রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং প্রেসিডেন্ট মুরসিকে তার প্রাসাদে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, ৩০ জুন প্রেসিডেন্ট মুরসির পদত্যাগের দাবিতে লাখ লাখ মানুষ মিশরজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে মুরসির পদত্যাগের সময় বেঁধে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে দেশজুড়ে অন্তত ২৫ জন নিহত হন।
এরইমধ্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় সরকারবিরোধীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় মুরসির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ব্রাদারহুড বহির্ভূত ছয় মন্ত্রী। সরকারবিরোধী আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে পড়ে মিশর। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় উৎখাত করে মিশরের সংবিধান স্থগিত করল সেনাবাহিনী। কিন্তু এবার প্রশ্ন পিরামিডের দেশে এখন অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যে দেশে যা হল, তারপর মিশরের ভবিষ্যত নিয়ে এখন আর আগ বাড়িয়ে বলার সাহস আর কেউ দেখাচ্ছেন না।

.