দলেই কেজরিওয়ালকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে, অভিযোগ আপ মুখপাত্রের

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর একটা ফাঁস হয়ে যাওয়া চিঠি। আর তাতেই ব্যতিব্যস্ত আম আদমি পার্টি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে তড়িঘড়ি আগামী বুধবার আপ-এর জাতীয় এক্সিকিউট কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। এই বৈঠকে দলের অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য-নেতা যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।

Updated By: Mar 2, 2015, 06:55 PM IST
দলেই কেজরিওয়ালকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে, অভিযোগ আপ মুখপাত্রের

ওয়েব ডেস্ক: অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর একটা ফাঁস হয়ে যাওয়া চিঠি। আর তাতেই ব্যতিব্যস্ত আম আদমি পার্টি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে তড়িঘড়ি আগামী বুধবার আপ-এর জাতীয় এক্সিকিউট কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। এই বৈঠকে দলের অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য-নেতা যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে।

সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আপ-এর দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় সিং জানিয়েছেনঅরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জাতীয় আহবায়কের পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র গত ছয় থেকে আট মাস থেকেই চলছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেছে ''দলের বরিষ্ঠ নেতারা যখন লাগাতার অরবিন্দ জিকে আক্রমণ করছেন, তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা করেন তখন কোনওভাবেই সুষ্ঠ ভাবে দলীয় কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।''

তিনি সাফ জানিয়েছেন বুধবারের মিটিংয়ে দলের টালমাটাল অবস্থা, চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলে যোগেন্দ্র যাবদ ও প্রশান্ত ভূষণের ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে।

সঞ্জয় সিংয়ের বয়ান অনুযায়ী ''পার্টি সদস্যদের একের পর এক চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা দলটিকে হাস্যকর করে তুলছে।'' তবে তিনি জানিয়েছেন কেজরিওয়ালের জাতীয় আহবায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

সূত্রে খবর, যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের সঙ্গে দলের কেজরিওয়াল লবির মতভেদ এতটাই তুঙ্গে যে এই দুই নেতাকে নাকি দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যুতে তাঁদের মুখে তালা চাবি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সূত্রের দাবি  তাঁদের সরাসরি দল ছাড়াতে না বললেও এই দু'জন যদি দল ছেড়ে চলে যেতে চান, তাহলে তাঁদের বাধা দেওয়া হবে না।

পার্টির আভ্যন্তরীণ একের পর এক চিঠি মিডিয়াতে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে আপ নেতৃত্ব। শুরুটা হয়েছিল দলের লোকপান অ্যাডমিরল এক রামদাসের চিঠি দিয়ে। এরপর যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের চিঠি, দিলীপ পান্ডের চিঠি এবং শেষমেশ যোগেন্দ্র যাদবের বিধ্বংসী একটি চিঠি জন সমক্ষে আসার পর থেকেই চরম অস্বস্তিতে আপ।

রামদাস তাঁর চিঠিতে দলে 'এক ব্যক্তির একটি পদের পক্ষে' সওয়াল করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দলাদলির। অন্যরা অর্থের ব্যবহার, অনুদান ও স্বেচ্ছাসেবীদের কিভাবে ব্যবহার করা হবে সেই সমগ্র প্রক্রিয়ার উপর আঙুল তুলেছিলেন।

যোগেন্দ্র যাদবরা যখন চাইছেন দিল্লির বাইরেও বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে পার্টির সম্প্রসারণের তখন এই বিষয়ে কেজরিওয়াল এখনও কোনও সম্মতি দেননি।

তবে দলীয় কোন্দলকে চাপা দেওয়ার কম চেষ্টা করেননি আপ নেতৃত্ব। প্রশান্ত ভূষণের চিঠি জনস্বমক্ষে চলে আসার পর প্রাক্তন সাংবাদিক বর্তমান আপ নেতা আশুতোষ ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে টুইট করে জানান 'এ শুধুমাত্র ভিন্ন ভাবনার সংঘাত।''

এর আগে সোমবার যোগেন্দ্র যাদব অবশ্য জানিয়েছিলেন তাঁকে ও প্রশান্ত ভূষণকে নিয়ে মিডিয়াতে প্রকাশিত সব খবরই অতিরঞ্জিত।

 

 

 

.