অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বিএনপির হরতাল যেন ঘি ঢালল

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ডাকে হরতালে অশান্ত বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যত্র দিনভর তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থকরা। কোথাও দোকানপাট, যানবাহনে ভাঙচুর, কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে হরতাল সমর্থকরা। তবে হরতালের মোকাবিলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার। জামাতের দুদিনের হরতাল শেষ হতে না হতেই মঙ্গলবার ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র ডাকে হরতাল। 

Updated By: Mar 5, 2013, 08:32 PM IST

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ডাকে হরতালে অশান্ত বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যত্র দিনভর তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থকরা। কোথাও দোকানপাট, যানবাহনে ভাঙচুর, কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু জায়গায় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে হরতাল সমর্থকরা। তবে হরতালের মোকাবিলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার।জামাতের দুদিনের হরতাল শেষ হতে না হতেই মঙ্গলবার ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র ডাকে হরতাল। সেই হরতাল সফল করতে সকাল থেকেই পথে নেমেছিল বিএনপি সমর্থকরা।
 
সাত সকালেই পরপর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে শুন্যে গুলি চালায় পুলিস। কোথাও বাড়িঘর, দোকান-বাজারে ভাঙচুর, কোথাও যানবাহনে ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা। রাজধানী ঢাকার কারওয়ানবাজার, মীরপুর, সবুজবাগ, মুগদা ও গুলশান লিঙ্করোডে দফায় দফায় তাণ্ডব চালায় হরতাল সমর্থকরা।
 
দেশের অন্যত্রও তাণ্ডব চালিয়েছে হরতালের সমর্থকেরা। নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালি, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজিপুরে একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে রেললাইন কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা।
 
ঢাকাসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। পুলিস এবং রাবের নজরদারির পাশাপাশি নাশকতায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের জন্য রাস্তায় নামানো হয়েছে প্রচুর ভ্রাম্যমান আদালত। সকাল থেকেই ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির সদর কার্যালয় ঘিরে রেখেছিল পুলিস। বিকেলে বিএনপি দফতরের কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
হরতালের বিরোধিতায় সকাল থেকেই ঢাকা এবং অন্যান্য শহরে মিছিল করে আওয়ামি লিগ এবং তাদের সহযোগী দলগুলি। গত কয়েকদিনের হিংসার ঘটনায় জামাত শিবির এবং বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী।
 
হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। হিংসার আশঙ্কা সত্ত্বেও রাজধানীর রাস্তায় ছিল প্রচুর বাস ও গাড়ি। লঞ্চ ও ট্রেন পরিষেবা চালু থাকলেও, দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

.