লোকসভায় পাস ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল

উদার বাজারনীতির পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিলটি। এরফলে ভারতীয় ব্যাঙ্কিংক্ষেত্রে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির জন্য আরও বেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়া হল। তবে বিরোধীদের দাবি মেনে জমি অধিগ্রহণ বিলটি বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর বীমা আইন সংশোধনী বিলটিও এবারের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হচ্ছে না।

Updated By: Dec 19, 2012, 10:57 AM IST

উদার বাজারনীতির পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিলটি। এরফলে ভারতীয় ব্যাঙ্কিংক্ষেত্রে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির জন্য আরও বেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেওয়া হল। তবে বিরোধীদের দাবি মেনে জমি অধিগ্রহণ বিলটি বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর বীমা আইন সংশোধনী বিলটিও এবারের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হচ্ছে না।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের পথ আরও প্রশস্ত করতে ২০১১-এ সংশ্লিষ্ট বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল। বিলটির বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, এর ফলে পশ্চিমী আর্থিক মন্দার প্রভাবও ভারতের বাজারে প্রবলভাবে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। মঙ্গলবার বিলটি লোকসভায় পেশ হলে বামপন্থীদের তরফে কিছু সংশোধনীও আনা হয়। কিন্তু, বামেদের সংশোধনীকে অগ্রাহ্য করেই ধ্বনিভোটে বিলটি পাস করিয়ে নেয় সরকার।
তার আগে অবশ্য প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দাবি মেনে বিলটি থেকে দুটি অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হয়েছে। একটি অনুচ্ছেদে ব্যাঙ্কগুলিতে ফিউচার ট্রেডিংয়ের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে ব্যাঙ্কগুলির ব্যবসায়িক হিসেব নিকেশ কমপিটিশন কমিশনের আওতার বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছিল। অর্থ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিলের যে খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছিল তাতে এই অনুচ্ছেদগুলি ছিল না। তাই বিলটি ফের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল বিজেপি।
বিতর্ক এড়াতে বিলটি থেকে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ দুটিই বাদ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে নতুন আর্থিক সংস্থাকে লাইসেন্স দেওয়ার আগে কেন্দ্রকে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার জেরেই বিলটি তৈরি করা হয়। এর ফলে, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে যেমন বিদেশি আর্থিক সংস্থা বিনিয়োগ করতে পারবে, তেমনই স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার জন্যও অনেক বিদেশি ব্যাঙ্ক লাইসেন্স পাবে।
পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিনিয়োগকারীদের ভোটাধিকারও এই বিলে বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে যাবতীয় লেনদেনের নিয়ামক সংস্থা হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে গেলেও, ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক প্রতিযোগিতার বিষয়গুলি দেখবে কম্পিটিশন কমিশন। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সংস্কারের ফলে বাজারে নগদ অর্থের যোগান বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় একে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। তবে ব্যাঙ্কিং বিল পাশ করলেও, বিরোধীদের দাবি মেনে জমি অধিগ্রহণ সংশোধনী বিল পেশের বিষয়টি পরবর্তী বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর বীমাক্ষেত্রে সংশোধনী বিলটিও এবারের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হবে না।

.