জমি না পেয়ে রাজ্য ছাড়ল বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার

জমি না পেয়ে রাজ্য ছাড়ল বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার। মালদায় ফ্রন্টিয়ারের নতুন সেক্টর গড়ার কথা ছিল। এর ফলে একদিকে যেমন সুরক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি তৈরি হল, অন্যদিকে তেমনি পরিকাঠামোর দিক থেকেও পিছিয়ে পড়ল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

Updated By: Jan 23, 2013, 09:03 AM IST

জমি না পেয়ে রাজ্য ছাড়ল বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার। মালদায় ফ্রন্টিয়ারের নতুন সেক্টর গড়ার কথা ছিল। এর ফলে একদিকে যেমন সুরক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি তৈরি হল, অন্যদিকে তেমনি পরিকাঠামোর দিক থেকেও পিছিয়ে পড়ল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
দু হাজার দশের আগে পর্যন্ত ক্যাম্প গড়েই কাজ চালাত মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদার সীমান্তরক্ষীবাহিনী। ছিলেন না আইজি পদমর্যাদার কোনও আধিকারিক, ছিল না গোয়েন্দা দফতর। নজরদারির অভাবে একটা সময় এই অঞ্চলকে সেফ করিডর হিসেবে ব্যবহার করত জাল নোটের কারবারী এবং জঙ্গিরা। চলত অবাধে অনুপ্রবেশ। সেকারণেই দু হাজার দশে মালদায় নতুন একটি ফ্রন্টিয়ার গড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  সেইমতো কয়েক কোম্পানি বিএসএফ জওয়ান আসে। নিয়োগ করা হয় আইজিসহ অন্য উচ্চপদস্থ অফিসারদের। কাজ শুরু করে মালদা ফ্রন্টিয়ার। তখন থেকেই রাজ্য সরকারের কাছে জওয়ান এবং তাঁদের পরিবারের জন্য বাসস্থান, হাসপাতাল, স্কুল গড়তে জমির দরবার করে আসছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। মালদার নিত্যানন্দপুরের কাছে একশ একর জমির খোঁজও মেলে। মালদা রেঞ্জের ডিআইজি এম এফ খানের দাবি, জমির ন্যায্য মূল্য সরকারের হাতে তুলে দিয়েও জমি পাননি তাঁরা।  
 
বাধ্য হয়েই মালদা থেকে এই ফ্রন্টিয়ার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মালদা ফ্রন্টিয়ার কাজ শুরু করার পর গত দু বছরে প্রায় এক কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে দেড়শ জন চোরাচালানকারী। এছাড়া সার্চলাইট ও জলপথে স্পিডবোট দিয়ে নজরদারিও অনেকটাই বাড়িয়েছিলেন জওয়ানরা। মালদা ফ্রন্টিয়ার সরে যাওয়ায় ব্যাহত হবে সেকাজ। কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর আশঙ্কা, এর ফলে দৌরাত্ম্য বাড়বে চোরাচালানকারীদের।
 
 
জমি সমস্যায় এর আগে সিঙ্গুর ছেড়েছে টাটারা। রাজ্য সরকারের জমি নীতির জেরে ভাঁটা পড়েছে বিনিয়োগে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল বিএসএফের মালদা ফ্রন্টিয়ারের রাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত।

.