কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রাহুল ব্রিগেডের প্রবেশের সম্ভাবনা প্রবল

রদবদলের ফলে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেবে টিম রাহুলের একাধিক সদস্য? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ, রাহুল ব্রিগেডের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সামলে আসছেন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এবার তাদের মধ্যে থেকে কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়তে চলেছে, তার জন্য অপেক্ষা আপাতত রবিবার পর্যন্ত। শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কারণ, ধীরে ধীরে দায়িত্ব বাড়ানো হচ্ছিল রাহুল গান্ধীর। এবার কি তাহলে একেবারে মন্ত্রিসভায়? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মন্ত্রী হওয়া নিয়ে সোনিয়া তনয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, দশ জনপথ এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। রাহুলকে নিয়ে শুধু নয়। জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে তাঁর ব্রিগেডকে নিয়েও। কারণ, টিম রাহুলের বেশিরভাগ সদস্যেরই কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বেশকয়েক বছরের।

Updated By: Oct 27, 2012, 09:57 AM IST

রদবদলের ফলে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেবে টিম রাহুলের একাধিক সদস্য? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ, রাহুল ব্রিগেডের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে সামলে আসছেন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এবার তাদের মধ্যে থেকে কার ভাগ্যে শিঁকে ছিড়তে চলেছে, তার জন্য অপেক্ষা আপাতত রবিবার পর্যন্ত। শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। কারণ, ধীরে ধীরে দায়িত্ব বাড়ানো হচ্ছিল রাহুল গান্ধীর। এবার কি তাহলে একেবারে মন্ত্রিসভায়? সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মন্ত্রী হওয়া নিয়ে সোনিয়া তনয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, দশ জনপথ এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। রাহুলকে নিয়ে শুধু নয়। জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে তাঁর ব্রিগেডকে নিয়েও। কারণ, টিম রাহুলের বেশিরভাগ সদস্যেরই কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বেশকয়েক বছরের।
যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী-পুত্র সন্দীপ দীক্ষিত। দলের মুখপাত্র। একই সঙ্গে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে গবেষণা ও সমণ্বয় বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচাত সন্দীপ দীক্ষিত কি এবার পাবেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা তুঙ্গে। বাবা ছিলেন রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভার সদস্য। সাংসদ হওয়ার পর ছেলেও মন্ত্রী। তবে, পূর্ণমন্ত্রী না। সামলাচ্ছেন যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত সিন্ধিয়া পরিবারের এই তরুণ সদস্যের পূর্ণমন্ত্রী হওয়া কি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা? শচীন পাইলট। দলের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে টিম রাহুলের এই তরুণ তুর্কির। বর্তমানে যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার কি পূর্ণমন্ত্রী পদ? প্রত্যাশা বাড়ছে দলেরই একাংশের মধ্যে।
একইরকম প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে জিতিন প্রসাদকে ঘিরেও। এই মুহূর্তে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। রাহুলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর দৌড়ে এগিয়ে জিতিন প্রসাদও। একইভাবে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নাম রয়েছে জয়ন্তী নটরানের মেয়ে মীনাক্ষীরও। দুহাজার দুই থেকে টানা তিনবছর মধ্যপ্রদেশে যুব কংগ্রেসের সভাপতি। রাহুল গান্ধীর নজরে আসেন ২০০৮-এ । তারপর থেকেই এআইসিসি-র সম্পাদক।
পরপর দুবারের সাংসদ প্রিয়া দত্ও এবার পিছিয়ে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভায় তরুণ ব্রিগেডের মধ্যে অন্যতম সুবক্তা হিসেবে পরিচিত। এবার কি মন্ত্রী হিসেবে জায়গা করে নেবেন ক্যাবিনেটে? জল্পনা চলছেই। বয়সে প্রবীণ হলেও, টিম রাহুলের একনিষ্ঠ সদস্য। বর্তমানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। সামলাচ্ছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বও। রয়েছে আরও ২টি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও। এবার কি রদবদলের জেরে উত্তরণ? নাকি কাঁটছাঁট হতে চলেছে জয়রাম রমেশের দায়িত্ব, জোর আলোচনা চলছে দলের অন্দরেই।
আর এই সবমিলিয়ে উঠে আসছে একটাই তত্ত্ব। এবারই কি গোটা ব্রিগেড নিয়ে মন্ত্রিসভায় আত্মপ্রকাশ ঘটবে টিম রাহুলের? অনেকের মতে, দুহাজার চোদ্দর আগে এটাই শেষ রদবদল। তাই সোনিয়াপুত্রকে সদলবলে মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করবে কংগ্রেস হাইকমান্ড।

.