দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তকে সনাক্ত পুলিসের

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনকে সনাক্ত করল পুলিস। নয়ডার একটি বাস ডিপো থেকে উদ্ধার হয়েছে বাসটিও। গতকাল চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে এক ছাত্রীকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে ওই তরুণীর বন্ধুকেও বেধড়ক মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সফদরজং হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ওই তরুণী। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।

Updated By: Dec 17, 2012, 11:03 AM IST

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনকে সনাক্ত করল পুলিস। নয়ডার একটি বাস ডিপো থেকে উদ্ধার হয়েছে বাসটিও। গতকাল চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে এক ছাত্রীকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে ওই তরুণীর বন্ধুকেও বেধড়ক মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সফদরজং হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ওই তরুণী। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।
এর আগে দিল্লির নৃশংস গণধর্ষণ কাণ্ডে ৪ জনের পরিচয় জানতে পারে পুলিস। আটক করা হয় দুটি হোয়াইট লাইন বাসও। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ধর্ষিতা। রবিবার রাতে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর লোহার রড দিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে মারা হয় তাঁকে। মুখ ও পেটে একাধিক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কাল রাত থেকে একাধিক বার অস্ত্রপচার হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধর্ষিতার অন্ত্রে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর পুরুষবন্ধুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিসি তদন্তে সাহায্য করছেন তিনি।
রবিবার রাতে দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় একটি হোয়াইট লাইন বাসে ২৩ বছরের ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ৫ জন যুবক। তারপর ধর্ষিতা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় একটি উড়ালপুলের ওপর ফেলে দেওয়া হয়। ধর্ষিতা দক্ষিণ দিল্লির পালম এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষিতার এক আত্মীয়র বয়ান অনুযায়ী, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই তরুণী ও তাঁর পুরুষ বন্ধু দক্ষিণ দিল্লির মুনিরকা একটি হোয়াইট লাইন বাসে ওঠেন। তাঁরা বাসে ওঠার ১০ মিনিটের মাথায় পাঁচ জন যুবক তরুণীকে নানা ভাবে উত্তক্ত করতে শুরু করে। পুরষ বন্ধুটি বাধা দিলে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ধর্ষিতার আত্মীয় জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একটি লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে যুবকটিকে। তারপর চলন্ত বাসের মধ্যেই তরুণীকে জোর করে বাসের কেবিনে টেনে গিয়ে সেখানেই পাঁচ জনে মিলে ধর্ষণ করে তাঁকে। দুষ্কর্মের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দুজনেরই শরীর থেকে বেশির ভাগ জামাকাপড় খুলে নিয়ে দক্ষিণ দিল্লির মহিপালপুর উড়ালপুলের উপর ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।
ধর্ষিতা দিল্লি ইউনার্ভাসিটিতে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর বন্ধুটি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। রবিবার রাতে দিল্লির সকেত এলাকার সেলেক্ট সিটি ওয়াক মলে সিনেম দেখতে গিয়েছিলেন দুজনে। তারপর তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁকে নিয়ে একটি অটোতে ওঠেন তাঁর বন্ধু। মুনিরকা এলাকায় অটো থেকে নেমে পালমগামী হোয়াইট লাইন বাসটিতে উঠেছিলেন দুজনে। মুনিরকা এলাকা ও মহিপালপুর উড়ালপুলের সিসিটিভির ফুটেজ থেকেও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। ধর্ষিতা ও তাঁর বন্ধুর বিবরণ অনুসারে দুষ্কৃতীদের স্কেচও বানানো হয়েছে।

.