রাহুল গান্ধী না নরেন্দ্র মোদী, গুজরাটের মহারণে 'বাহুবলী' হবেন কে?
বুথফেরত সমীক্ষা উড়িয়ে গুজরাটে কি ফিরতে পারবে কংগ্রেস? নাকি মিলে যাবে সমীক্ষা। গুজরাটের ফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একজনের কাছে সম্মানের লড়াই, অন্যজনের কাছে ময়দানে টিকে থাকার। সোমবার নরেন্দ্র মোদী বনাম রাহুল গান্ধীর 'দঙ্গলে'র ফল ঘোষণা। সবকটি বুথফেরত সমীক্ষাই আভাস দিয়েছে, একশোরও বেশি আসন পেয়ে গুজরাটের ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। গুজরাট তো হাতে আসছেই না, হিমাচলপ্রদেশও হাতছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। সেখানেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে বিজেপি। এক্সিট পোল অবশ্য একটা আভাস মাত্র। অনেক সময়েই বুখফেরত সমীক্ষা মেলেনি। তবে ফলঘোষণার আগেই কংগ্রেস ও হার্দিক প্যাটেল দাবি করতে শুরু করেছেন, ইভিএম হ্যাক করে বিজেপি গুজরাট জিতবে। বিজেপির বক্তব্য, হার নিশ্চিত জেনে এগুলো অজুহাত মাত্র।
বুথফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত মিলে গেলে উত্তরপ্রদেশের পর আরও একটা বড় জয় পাবেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখ সামনে রেখেই প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীও প্রচারে জোরকদমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে 'নরম হিন্দুত্বে'র কৌশল নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি ওবিসি, দলিত ও পাতিদার নেতাদের সমর্থন নিয়ে জাতপাতের অঙ্কও কষেছেন। বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলতে সব চেষ্টাই করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি। .
আরও পড়ুন- জি নিউজের সুপার এক্সিট পোলে বিজেপির জয়জয়কার
২০০২ সালের পর এবারই প্রথম গুজরাটে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিল বিজেপি। কংগ্রেসের 'নরম হিন্দুত্বে'র মোকাবিলায় শেষবেলায় 'মেরুকরণে'র চেনা ময়দানে নেমেছিল বিজেপিও। খোদ নরেন্দ্র মোদীই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় কপিল সিব্বলের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধেছিলেন। কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের বাড়িতে পাক রাষ্ট্রদূত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলেও হওয়া গরম করেছেন মোদী। রাজনৈতিক মহলের মতে, গুজরাটি অস্মিতা, আবেগ, হিন্দুত্ব ও উন্নয়ন- কোনও কিছুই বাদ যায়নি নরেন্দ্র মোদীর প্রচার থেকে। শেষবেলায় সি প্লেনের চমকও ছিল।
আরও পড়ুন- গুজরাট ও হিমাচলে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায়
গুজরাটের ফলের রাজনৈতিক অভিঘাত সুদূরপ্রসারী। গুজরাট ও হিমাচলপ্রদেশে বিজেপি জিতলে দেশের ১৯টি রাজ্যের ক্ষমতার রাশ তাদের হাতে চলে আসবে। ২০১৯ সালের আগে আরও ভাল জায়গায় চলে যাবে তারা। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মোদীর দিল্লির ক্ষমতায় আসার রাস্তা আরও মসৃণ হবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। ফের প্রশ্ন উঠবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী- দুজনের কাছেই গুজরাট অ্যাসিড টেস্ট।