কিয়েভে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও ব্রাসেলসে সহযোগী ইতালি-স্পেন

রবিবার ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি ও স্পেন। মাঠে কেউ কাউকে ছাড়বে না এক ইঞ্চি জমিও। কিন্তু, অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে দুই দেশই একে অন্যের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে সহযোগিতার হাত।

Updated By: Jun 30, 2012, 01:45 PM IST

রবিবার ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি ও স্পেন। মাঠে কেউ কাউকে ছাড়বে না এক ইঞ্চি জমিও। কিন্তু, অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে দুই দেশই একে অন্যের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে সহযোগিতার হাত। নিজেদের দেশের সরকারি ঋণপত্রে বিনিয়োগের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ওপর একযোগে চাপ বাড়িয়েছে মাদ্রিদ-রোম!       
ইউক্রেনের কিয়েভে প্রতিদ্বন্দিতা চললেও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে সহযোগিতার আবহ। আর্থিক সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচতে জোট বেঁধে এগোতে চাইছে পিগসের দুই দেশ। ক্যাসিয়াস-বুঁফো একে অপরের প্রতিদ্বন্দী হলেও মারিও মন্তি ও মারিয়ানো রাজয়কে দেখা যাচ্ছে সহযোগীর ভূমিকায়।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাজধানী বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে শুরু হয়েছে জোট রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন। ১৭টি দেশের যৌথ মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রনেতারা। বৈঠকে ইউরো অঞ্চলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে একশো কুড়ি বিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল গঠনে সম্মত হন তাঁরা। কিন্তু, বেঁকে বসেছে স্পেন ও ইতালি। দুই দেশেরই বক্তব্য, ক্রমবর্ধমান ঋণের খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের। এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্য দেশগুলি। মাদ্রিদ ও রোমের দাবি, তাদের দেশের সরকারি ঋণপত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে বেল-আউট দিক ইইউ।

সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকানোর হুমকি দিয়েছে স্পেন ও ইতালি। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্তি রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছেন, বেল-আউট না পেলে ১২০ বিলিয়ন(১২,০০০ কোটি) ইউরোর প্রস্তাবিত তহবিলটিই আটকে দেবেন। আর্থিক তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তে ভেটো দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। 
কিয়েভের মহারণের দুই প্রতিপক্ষ এখন ব্রাসেলসে সহযোগীর ভূমিকায়! শেষ হাসি কে হাসবে জাভি-ইনিয়েস্তা ? নাকি পিরলো-বালাতোলিরা ? রবিবারই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। পরবর্তী ৪ বছরের জন্য ইউরোপ সেরার মুকুট ধরে রাখতে দু`দলই এখন শান দিচ্ছে নিজেদের স্ট্রাটেজিতে। অন্যদিকে, নিজেদের অর্থনীতি সামলাতে ওই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ইউরো জোনের মঞ্চে জোট বেঁধে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।

.