নির্ভয়াকাণ্ডের নাবালক অপরাধী: অজ্ঞাত পরিচয় জায়গা সরানো হল, টাকা- সেলাই মেশিন দিচ্ছে দিল্লি সরকার

কালই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী নাবালক। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পর আজ তাকে হোম থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার নির্ভয়ার পরিবার। মুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দোষী নাবালকের গ্রামে। এদিকে, সেই নাবালক ছাড়া পাওয়ার পর তাকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে এককালীন ১০ হাজার টাকা ও একটি সেলাই মেশিন দিচ্ছে দিল্লি সরকার। যাতে সেই নাবালক পুনর্বাসনের মাধ্যমে দর্জির দোকান খুলতে পারে।

Updated By: Dec 19, 2015, 08:19 PM IST
নির্ভয়াকাণ্ডের নাবালক অপরাধী: অজ্ঞাত পরিচয় জায়গা সরানো হল, টাকা- সেলাই মেশিন দিচ্ছে দিল্লি সরকার

ওয়েব ডেস্ক: কালই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী নাবালক। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পর আজ তাকে হোম থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে সোচ্চার নির্ভয়ার পরিবার। মুক্তি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দোষী নাবালকের গ্রামে। এদিকে, সেই নাবালক ছাড়া পাওয়ার পর তাকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে এককালীন ১০ হাজার টাকা ও একটি সেলাই মেশিন দিচ্ছে দিল্লি সরকার। যাতে সেই নাবালক পুনর্বাসনের মাধ্যমে দর্জির দোকান খুলতে পারে।

কেউ কেউ মেনে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই মানতে পারছেন না। নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী নাবালকের মুক্তি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই দিল্লির ম্যাগাজিন রোডের প্লেস অফ সেফটি হোম থেকে অজ্ঞাত পরিচয় স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল দোষী নাবালককে। রবিবার তার মুক্তি পাওয়ার কথা। মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। আদালত সেই আর্জি খারিজ করতেই রাস্তা পরিষ্কার। মেয়ের ঘাতকের মুক্তি কিছুতেই মানতে পারছে না নির্ভয়ার পরিবার।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর জুভেনাইল আইন মেনে তিন বছরের জন্য হোমে পাঠানো হয় নাবালককে। উদ্দেশ্য ছিল সংশোধন। তিন বছরের মেয়াদ শেষে এখন তার বয়স কুড়ি। চলন্ত বাসে গণধর্ষণে নাবালকের নৃশংস ভূমিকা চমকে দিয়েছিল গোয়েন্দাদের। সংশোধনাগারেও তার মধ্যে অনুতাপের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি বলে খবর সামনে আসে। এমন এক দোষীর মুক্তির বিরোধিতায় সরব হন অনেকেই। রুটিরুজির কথা মাথায় রেখে দোষী নাবালককে এককালীন দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য আর একটা সেলাই মেসিন দেবে সরকার।

উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর একটি গ্রামে দোষী নাবালকের বাড়ি। পরিবার ও পড়শিরা চান, অবিলম্বে ফিরে আসুক ছেলে। কিন্তু গ্রামের অনেকে এই মুক্তি মানতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, তিন বছর আগে যে লজ্জার অন্ধকারে ঢেকেছিল গ্রাম, নাবালকের মুক্তিতে সেই একই আঁধার গ্রাস করবে গোটা গ্রামকে।  

.