আগুন ডানার উড়ান- ১৯৩১-২০১৫

নেহাতই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। অল্প বয়সেই সংসারের বোঝা  কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা ছাড়েননি। পরম নিষ্ঠায় নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তোলা সেই মানুষটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন গোটা দেশের পথ প্রদর্শক।তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এপিজে আব্দুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর।বাবা জৈনুলাবেদিন, মা আসিয়াম্মা। অভাবের সংসারে ছোটবেলা আদৌ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটেনি কালামের। সংসার চালাতে বিভিন্ন কাজ করেছেন। আবার পড়াশোনাতেও বরাবরই তিনি সেরা।তিরুচিরাপল্লীর সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরও তৃপ্তি পাননি। পরের বছরই মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট  অফ টেকনোলজিতে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন কালাম।

Updated By: Jul 28, 2015, 02:51 PM IST
আগুন ডানার উড়ান- ১৯৩১-২০১৫

ব্যুরো: নেহাতই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। অল্প বয়সেই সংসারের বোঝা  কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা ছাড়েননি। পরম নিষ্ঠায় নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তোলা সেই মানুষটিই পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন গোটা দেশের পথ প্রদর্শক।তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে এপিজে আব্দুল কালামের জন্ম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর।বাবা জৈনুলাবেদিন, মা আসিয়াম্মা। অভাবের সংসারে ছোটবেলা আদৌ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটেনি কালামের। সংসার চালাতে বিভিন্ন কাজ করেছেন। আবার পড়াশোনাতেও বরাবরই তিনি সেরা।তিরুচিরাপল্লীর সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরও তৃপ্তি পাননি। পরের বছরই মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট  অফ টেকনোলজিতে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন কালাম।

এমআইটির  স্নাতক কালাম ছিলেন দেশের অন্যতম প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র মুখ্য বিজ্ঞানী।  পরে যোগ দেন  ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় ।

তিনিই ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল প্রোজেক্টের অধিকর্তা। তাঁরই তত্‍পরতায় কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সায় দেয়।  অগ্নি ও পৃথ্বীর মতো মিসাইল কর্মসূচি রূপায়ণে কালামই ছিলেন মূল চালিকাশক্তি। প্রযুক্তিগত দক্ষতায়  তাঁর উদ্ভাবনীর জেরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হয়ে ওঠে আরও নিশ্ছিদ্র। পোখরানে পারমানবিক বিস্ফোরণের নেপথ্যে মূল চালিকাশক্তিও ছিলেন তিনি। এর সুবাদেই দেশজুড়ে মিসাইল ম্যান নামে পরিচিত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান উপদেষ্টা ছিলেন। থেকেছেন আরও নানা সরকারি পদে। দুহাজার দুই সালে সেই মানুষটিই  সরকার ও বিরোধী দলের সমর্থন আদায় করে নিয়ে দেশের একাদশ রাষ্ট্রপতি হন তিনি। ভাবনা, মনন ও আচরণে তিনি ষোলোআনা জনগণের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বলেই মনে করে বিদগ্ধ মহল। ব্যস্ততার মাঝেই  চলেছে তাঁর  নিরন্তর পড়াশোনা এবং গবেষণা।  ইন্ডিয়া টোয়েন্টি টোয়েন্টি, ইনস্পায়ারিং থটস, ইগনাইটেড মাইন্ডসের মতো একের পর এক আকর  অমূল্য গ্রন্থের লেখক হিসাবে তাঁকে পেয়েছে গোটা দেশ। ২০১১ থেকে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত  করার অভিযানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। টেক স্যাভি মানুষটি সোমবার শিলংয়ের আইআইএমে যাওয়ার পথেও টুইট করেছিলেন। সেখানেই বক্তৃতার মাঝেই সব শেষ। আর ফেরা হল না তাঁর।

.