রেল কমিটির নামে নয়ছয় কোটি টাকা, ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট

রেলপ্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় তৈরি করা সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ভাঙার পিছনে তাঁর যুক্তি, লোকসানে চলা রেলের পক্ষে কমিটির খরচ বহণ বাতুলতা মাত্র। কতটা টাকা খরচ হত কমিটির সদস্যদের জন্য? উঠে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Updated By: Jan 16, 2013, 09:09 AM IST

রেলপ্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় তৈরি করা সমস্ত কমিটি ভেঙে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ভাঙার পিছনে তাঁর যুক্তি, লোকসানে চলা রেলের পক্ষে কমিটির খরচ বহণ বাতুলতা মাত্র। কতটা টাকা খরচ হত কমিটির সদস্যদের জন্য? উঠে এসেছে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দুহাজার নয়। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী হওয়ার পরই তড়িঘড়ি বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেন তিনি।
কেন এই কমিটি? কী কাজ হবে কমিটির? কাদের নিয়ে গড়া হল কমিটি?
প্রথম দুটি প্রশ্নের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তৃতীয় প্রশ্নটি। কারা ছিলেন সেদিনের কমিটিতিতে? শাঁওলি মিত্র, অর্পিতা ঘোষ, বিভাস চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, শুভাপ্রসন্ন এবং আরও অনেকে। এককথায় নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর যারাই পরিবর্তনের পক্ষে পথে নেমেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশকেই কমিটির সদস্য করে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে এদের কেউ ভাতা পেতেন ২৫ হাজার, কেউ পেতেন ৫০ হাজার টাকা। তবে শুধু ভাতা নয়, ছিল আরও অসংখ্য সুযোগ সুবিধা। রেলমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে শুধুমাত্র ভাতা বাবদ খরচ হত প্রায় চার কোটি টাকা। এসব কথা এখন প্রায় সকলেরই জানা।
কিন্তু যেটা অজানা ছিল, তা হল একেক জন কমিটির সদস্যের জন্য কত টাকা খরচ হত রেলের? সেই তালিকাও এখন আমাদের হাতে। সূত্র রেলমন্ত্রক।

যাত্রী সুরক্ষা কমিটি
শুভাপ্রসন্ন      ৩০৮৭১০ টাকা
রাধিকা রঞ্জন প্রামানিক   ২১০৬৫৪ টাকা
ডঃ বরকটি    ২৪৯২৯০ টাকা
পল্লব কীর্ত্তনীয়া ২৪৬৯৬৮ টাকা
রচপাল সিং ২৪৮৯৬৮ টাকা
রুকবানুর রেহমান ১৯৫৮৭১ টাকা
হরনাথ চক্রবর্তী  ৭৬১২৯ টাকা
পেসেঞ্জার সার্ভিস কমিটি
ডেরেক ও ব্রায়ন                  ৫১৮৭১ টাকা
ব্রাত্য বসু                       ১৫২৫৭৪ টাকা 
আবু আয়েস মণ্ডল               ১৭৯৫৮০ টাকা
সুলতান সিং                       ১৫০৯৬৮ টাকা
গৌতম ঘোষ                      ১১২৪৪৮ টাকা
মনীশ মিত্র                       ১৮৭৫৬৭ টাকা
ধুঁকছে রেল। লোকসানের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। রেল বিশেষজ্ঞদের দাবি, অপরিকল্পিত ব্যায়ের কারণেই রেলের এই ভয়ঙ্কর সংকট। তারমধ্যে এই কোটি কোটি টাকা খরচ করার অর্থ কী? পরিবর্তনের স্লোগানে সামিল হওয়ার কারণেই কী এটা তাঁদের পুরস্কার? রেল ভবনের অলিন্দে এখন ঘুরে বেড়ায় এইসব প্রশ্ন।

.