সিঙ্গুর নিয়ে "কোনও রাগ নেই, শুধুমাত্র দুঃখ আছে", জানালেন টাটা

ভবিষ্যতে এ রাজ্যে গাড়ি কারখানা তৈরির আশা ছাড়ছেন না তিনি। আজ কলকাতায় টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ী চেয়ারম্যান রতন টাটা নিজেই এ কথা স্পষ্ট করে দেন। একইসঙ্গে জানান, রাজনৈতিকভাবে বন্ধুত্বের পরিবেশ পেলে তবেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন তিনি।

Updated By: Aug 31, 2012, 07:23 PM IST

ভবিষ্যতে এ রাজ্যে গাড়ি কারখানা তৈরির আশা ছাড়ছেন না তিনি। আজ কলকাতায় টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ী চেয়ারম্যান রতন টাটা নিজেই এ কথা স্পষ্ট করে দেন। একইসঙ্গে জানান, রাজনৈতিকভাবে বন্ধুত্বের পরিবেশ পেলে তবেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন তিনি।   
সুপ্রিম কোর্টে সিঙ্গুর জমি আইন নিয়ে মামলা চলাকালীনই রাজ্যে এলেন টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ী চেয়ারম্যান রতন টাটা। শুক্রবার, কলকাতায় টাটা গ্লোবাল বেভারেজেসের বার্ষিক সভায় যোগ দেন তিনি। এদিন, রতন টাটা বলেন, "রাজনৈতিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ পেলে তবেই এখানে আসব। দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে এই রাজ্যকে বিনিয়োগের নিরিখে আলাদা করে দেখি না। এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই।"
সিঙ্গুর প্রসঙ্গে টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ী চেয়ারম্যানের বক্তব্য, "কোনও রাগ নেই, শুধুমাত্র দুঃখ আছে যে আমরা এখানে কিছু করতে পারলাম না। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। পরিণতি যাই হোক না কেন, আমরা আইনকে সম্মান করব। স্বাগত জানাবো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইচ্ছাকেও। কে বলতে পারে, একদিন হয়ত আমরা পশ্চিমবঙ্গের কোথাও টাটা মোটরসের কারখানা তৈরি করতে পারব, আমাদের স্বাগত জানানো হবে।"
তৃণমূলের আন্দোলনের জেরেই তাঁদের সিঙ্গুর ছাড়তে হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন রতন টাটা। শুক্রবার তিনি বললেন, রাজনৈতিক পরিবেশ বন্ধুত্বপূর্ণ হলে তবেই তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের কথা ভাববেন। রাজ্যের নতুন সরকারের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁরা যে বন্ধুত্বপূর্ণ সাড়া পাননি, তা রতন টাটার এই বক্তব্যেই স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এদিন, টাটা গোষ্ঠীর বিদয়ী কর্ণধারের ইঙ্গিত বিনিয়োগের জায়গা হিসাবে এখনই পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে আশা হারাচ্ছেন না তিনি। বিচারাধীন সিঙ্গুর জমি মামলার ক্ষেত্রে আইনের পাশাপাশি তাঁরা সম্মান জানাবেন রাজ্য সরকারের ইচ্ছাকেও। তবে, কি আদালতের বাইরে দুপক্ষের আপোষ মীমাংসায় সিঙ্গুর জমি মামলার জট কাটতে চলেছে ? রতন টাটার এই মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  

.