৭০ ছুঁল ডলার পিছু টাকার দর, উদ্বেগে শীর্ষ ব্যাঙ্ক

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রত্যক্ষ লক্ষ করা যাচ্ছে ভারতীয় বাজারে। তুরস্কের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর দ্বিগুণ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

Updated By: Aug 14, 2018, 12:16 PM IST
৭০ ছুঁল ডলার পিছু টাকার দর, উদ্বেগে শীর্ষ ব্যাঙ্ক
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকার পতন অব্যাহত। মঙ্গলবার সকালেও নতুন রেকর্ড গড়ল ডলার পিছু টাকার দাম। এ দিন  ৭০.১০ টাকায় পৌঁছে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হল ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দর। তুরস্কের মুদ্রা লিরার পতনের প্রভাবে জোর ধাক্কা মার্কিন এবং ইউরোপের শেয়ার বাজারে। তবে, এ দিন ১০০ পয়েন্ট উপরে খোলে সেনসেক্স। নিফটিও চাঙ্গা থেকেছে। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ১৬৭ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স সূচক থাকে ৩৭,৮১১। ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১১ বাজার ৪০০ সূচকে শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে নিফটি।

আরও পড়ুন- মুখ্যসচিব নিগ্রহের ঘটনায় কেজরিওয়াল সহ ১১ আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট

উল্লেখ্য, গতকালও নজিরবিহীন ভাবে ডলার পিছু টাকার দর পড়ে। এক ধাক্কায় ১.১০টাকা পড়ে যায় টাকার দর। যার ফলে জ্বালানি তেল আমদানি ক্ষেত্রে এ বার বেশি মূল্য চোকাতে হবে ভারতকে। ডলারের দাম উত্তরোত্তর যে ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, আম আদমির ভাঁড়ারেও দ্রুত তার প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশ না টানলে মূল্যবৃদ্ধিও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে সুদ বাড়াতে বাধ্য হতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। সোমবার অর্থমন্ত্রক সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন- ‘সোমনাথ সিপিএম-ই নন’! কমিউনিস্ট নেতার প্রয়াণে আরও প্রকট বাংলা-কেরল দ্বন্দ্ব

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রত্যক্ষ লক্ষ করা যাচ্ছে ভারতীয় বাজারে। তুরস্কের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর দ্বিগুণ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশে মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছলেও, সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটছেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। যার ফলে ক্রমাগত পড়ছে সে দেশের মুদ্রা লিরার দর। ডলার পিছু লিরার দর নেমেছে ৪৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন- লন্ডনে খলিস্তান আন্দোলনের পাল্টা চাল দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ

বিশ্বের শেয়ার বাজারে মন্দাভাব লক্ষ করা গিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক, ইউরোপের এফটিএসই, ক্যাক, ড্যাক্স পতন অব্যাহত রয়েছে। তরুস্কের লগ্নি ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় থাকায় এই পতনের কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এশীয় শেয়ার বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

.