অসম হিংসায় ভুয়ো এসএমএস, রেহমান মালিকের সঙ্গে কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অসমের দাঙ্গা, হিংসা, বিদ্বেষে উস্কানি দিচ্ছে বিভিন্ন ভুয়ো এমএমএস। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিতে ভরে যাচ্ছে ভুয়ো ছবিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং গতকালই জানিয়েছেন এগুলির উত্‍স পাকিস্তান। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে এই বিষয় নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে।

Updated By: Aug 19, 2012, 06:28 PM IST

অসমের দাঙ্গা, হিংসা, বিদ্বেষে উস্কানি দিচ্ছে বিভিন্ন ভুয়ো এমএমএস। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলিতে ভরে যাচ্ছে ভুয়ো ছবিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং গতকালই জানিয়েছেন এগুলির উত্‍স পাকিস্তান। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে এই বিষয় নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে। তিনি বলেন এমএমএস বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মতো মাধ্যমে এই সব ছবি প্রচারিত হলে তা ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলিকে উস্কানি দিতে পারে। শিন্ডে এবিষয় পাকিস্তানের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করেছেন।
অসমের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। অসম প্রসঙ্গে আজ এমন মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দেশের যেকোন নাগরিক যেখানে খুশি থাকতে পারেন। সেই স্বাধীনতা সকলেরই রয়েছে। অসমের সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনা রীতিমত আশঙ্কায় রেখেছে দেশবাসীকে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অসমে হিংসার জেরে অন্য রাজ্য থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা নিজেদের রাজ্যে ফিরে আসছেন। আতঙ্কে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। এমএমএস-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। শনিবার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং জানান, পাকিস্তান থেকে আপলোড করা হচ্ছে এই সমস্ত ভুয়ো ভিডিও ক্লিপিংস। তিন মাস আগে মায়ানমারের হিংসার ছবি অসমের ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পে মৃত্যু ও ধ্বংসের ছবি ছড়িয়ে দিয়েও চলছে ভ্রান্ত প্রচার। যেসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুয়ো ভিডিও ক্লিপিংস ছড়ানো হচ্ছে সেগুলিকে ব্লক করার কথাও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।
যেসব কম্পিউটার থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়ো ছবি আপলোড করা হচ্ছে, গুগুলের কাছে সেগুলির আইপি অ্যাড্রেস চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দিল্লির সন্দেহ, ভিডিও ক্লিপিংস ছড়ানোর পিছনে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হাত রয়েছে। উস্কানি দেওয়ার কাজে জড়িত থাকতে পারে হিজবুল মুজাহিদিন, হুজি ও সিমি-র মতো জঙ্গি সংগঠন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত মাসের তেরো তারিখ থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ভিডিওগুলি পোস্ট করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রবিবার পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে। দোষীদের চিহ্নিত করতে পাকিস্তানের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ইসলামাবাদের তরফে এ প্রসঙ্গে আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে খবর। ভুয়ো এমএমএস-এর বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তবে, সীমান্তের ওপার থেকে ভিডিও ক্লিপিংস ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। দুদেশের মধ্যে আস্থার ঘাটতির জন্যই এই ধরনের অভিযোগ উঠছে বলে পাক দূতাবাসের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে।

.