মাদার টেরেসা বিতর্কে মোহন ভাগবতের পাশে শিব সেনা

মাদার টেরেসাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের পাশে দাঁড়াল শিব সেনা। শিব সেনার মুখপত্র সামাতে প্রকাশিত একটি এডিটোরিয়ালে এই কড়া সত্যি কথা সামনে আনার জন্য বাহবা দেওয়া হয়েছে মোহন ভাগবতকে। সঙ্ঘ প্রধান বলেছিলেন, বিভিন্ন দেশে খ্রীষ্টধর্ম প্রচারই ছিল মিশনারিদের লক্ষ্য।

Updated By: Feb 25, 2015, 02:05 PM IST
মাদার টেরেসা বিতর্কে মোহন ভাগবতের পাশে শিব সেনা

ওয়েব ডেস্ক: মাদার টেরেসাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের পাশে দাঁড়াল শিব সেনা। শিব সেনার মুখপত্র সামাতে প্রকাশিত একটি এডিটোরিয়ালে এই কড়া সত্যি কথা সামনে আনার জন্য বাহবা দেওয়া হয়েছে মোহন ভাগবতকে। সঙ্ঘ প্রধান বলেছিলেন, বিভিন্ন দেশে খ্রীষ্টধর্ম প্রচারই ছিল মিশনারিদের লক্ষ্য।

শিব সেনার মুখপত্রে বলা হয়েছে, মুসলমানরা অস্ত্রের সাহায্য ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া চালিয়েছে...ক্রিশ্চানরা তা করেছিলেন পয়সার সাহায্যে ও সেবার ছদ্মবেশে। ভাগবত এই কঠিন সত্য সামনে এনে জাতীয় সেবা করেছেন। মাদার টেরেসার কাজের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। অনেক সমাজসেবকই এই ধরণের কাজ করেছেন। কিন্তু তারা ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া চালাতে চাননি। সঙ্ঘ প্রধান যা বলেছেন, তা 'ঘর ওয়াপসি' প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। ওনাকে আমরা অভিননন্দন জানাই।

সঙ্ঘ প্রধান এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রয়াত বাবা আমতেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মুখপত্রে। গতকালই বিজেপি নেত্রী মীলাক্ষি লেখি বলেন, মাদার টেরেসা নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে খ্রীষ্টধর্মের প্রচার করা তার কাজ। তিনি বলেন, "আপনারা দয়া করে মাদার টেরেসাকে নিয়ে লেখা নবীন চাওলার বইটা পড়ুন। যেখানে একটি সাক্ষাত্‍কারে মাদার টেরেসা নিজেই বলেছেন, 'অনেকেই আমাকে সমাজসেবী ভেবে ভুল করেন। আমি সমাজসেবী নই। আমি জিশুর সেবায় নিবেদিত, ওমার কাজ খ্রীষ্টধর্ম ছড়িয়ে দেওয়া ও মানুষকে এই ধর্মের আওতায় আনা।' "

রাজস্থানের ভরতপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, মাদার টেরেসার কাজ হয়তো ভাল ছিল, কিন্তু তার একটা উদ্দেশ্য ছিল।মানুষকে ধর্মান্তরিত করা, যার সেবা করবেন, তাকে খ্রীষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করবেন। প্রশ্নটা ধর্মান্তকরণের নয়, কিন্তু তা যদি সেবা করার নামে করা হয়, তবে সেই সেবা উদ্দেশ্য হারায়। কিন্তু এখানে(স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশ্যে) দুস্থ ও অসহায় মানুষদের সেবার উদ্দেশ্যেই কাজ করা হয়।

 

.