সিঙ্গুর ইস্যুতে ফেসবুকে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী

সিঙ্গুর ইস্যুতে আজ ফের ফেসবুকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর নেতৃত্বে সিঙ্গুরের আন্দোলনই যে জমির মত স্পর্শকাতর ইস্যুতে দেশজোড়া বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। কৃষকদের স্বার্থে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ইঙ্গিত রয়েছে তাঁর বার্তায়।

Updated By: Jun 23, 2012, 11:00 PM IST

সিঙ্গুর ইস্যুতে আজ ফের ফেসবুকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর নেতৃত্বে সিঙ্গুরের আন্দোলনই যে জমির মত স্পর্শকাতর ইস্যুতে দেশজোড়া বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, সেকথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। কৃষকদের স্বার্থে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ইঙ্গিত রয়েছে তাঁর বার্তায়।
সিঙ্গুর রায়ের পর সরাসরি মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে কৃষকদের জমির অধিকার রক্ষায় সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার সিঙ্গুর রায়ের পরে ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ছিল সেই সুর। শনিবার টাউনহলে সমাবেশের পরেও সেই বার্তাই দিয়েছে তৃণমূল। এর পাশপাশি শনিবারও ফের ফেসবুকে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ফেসবুকে তাঁর মন্তব্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানান। এবং সেই সাড়া পেয়ে অভিভূত বলেই জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, এই ঘটনা তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
শনিবার ফেসবুকে বার্তায় কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন  বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এবং এই পরিস্থিতিতে জনগণের নৈতিক সমর্থন তাঁকে উত্সাহ দেবে বলেই অভিমত পোষণ করেন। শনিবার ফেসবুকে বার্তায় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকে ইদানীংকালের ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে জমি যে স্পর্শকাতর ইস্যু সিঙ্গুর আন্দোলন তাকেই সামনে এনেছে বলে মন্তব্য করেন।  সিঙ্গুর আন্দোলনে তিনি যে ছাব্বিশ দিন অনশন করেছিলেন তাও স্মরণ করিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন দেশের গরিব এবং প্রান্তিক চাষীদের জমি অধিগ্রহণের প্রশ্নে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি করে সিঙ্গুর আন্দোলন। জমির ওপর কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাইকে সাধুবাদ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেন ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁদেরকেও। সবমিলিয়ে রায় নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করেও নিজের সপক্ষে কার্যত জনমত গড়ে তোলার চেষ্টাই ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক বার্তায়। এর পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী হয়তো একথাও বোঝাতে চেয়েছেন যে, আইন যতই বিপক্ষে যাক, জনমত তাঁর সঙ্গেই আছে। সিঙ্গুর আন্দোলন রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিঙ্গুর নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা কোণঠাসা রাজ্য সরকার। সেকারণেই সম্ভবত, সিঙ্গুর ইস্যুকেই হাতিয়ার করে ফের হাওয়া তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি।

.