ভায়াপাম কেলেঙ্কারির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

ভায়াপাম কেলেঙ্কারির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক অক্ষয় সিং গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার মেঘনগরে, কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এক তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে অক্ষয় সিংকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।

Updated By: Jul 5, 2015, 08:22 AM IST
ভায়াপাম কেলেঙ্কারির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

ওয়েব ডেস্ক: ভায়াপাম কেলেঙ্কারির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের রহস্য মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক অক্ষয় সিং গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার মেঘনগরে, কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এক তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে অক্ষয় সিংকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।

কয়েক বছর আগেও ভায়াপম কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় ছিল মধ্যপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত চলাকালীন বিরোধীদের চাপে সেসময় বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।  

দু বছরের মধ্যে কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৪৪ জন রহস্যজনক ভাবে মারা যান।

তারপরই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিং সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। এই মর্মে তিনি শীর্ষ আদালতে আবেদনও জানান।

যার প্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্তকারি দল গঠিত হয়। তদন্ত শেষ করে তারা মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেয়।

রিপোর্টে উল্লেখ যে ৪৪জনের মধ্যে ভায়াপাম কেলেঙ্কারি জড়িত ২৩ জনের মৃত্যু রহস্যজনক। যার মধ্যে অন্যতম, মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবের ছেলে শৈলেশ যাদবের মৃত্যু।

এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুলাল গৌড় ঘোষণা করেন যে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ভয়াপম কেলেঙ্কারির কোনও যোগ নেই। ফলে ধামাচাপা পড়ে যায় তদন্ত।

মৃতদের তালিকায় নাম ছিল নম্রতা দামর নামে এক তরুণীরও। তাঁর মৃত্যু ঘিরেও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ উজ্জৈন জেলায় রেললাইনে উদ্ধার হয় নম্রতার দেহ।

ভায়াপম কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে খবর করছিলেন সর্বভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের জনপ্রিয় সাংবাদিক অক্ষয় কুমার। সেই সূত্রেই শনিবার দুপুরে তিনি দিল্লি থেকে  যান মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার মেঘনগরে, নম্রতার বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরিয়েই অসুস্থ বোধ করেন অক্ষয়। সেসময় তাঁর সঙ্গে থাকা একজন গিয়েছিলেন কিছু জরুরী কাগজ জেরক্স করতে। তারজন্যই রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন অক্ষয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। তড়ঘড়ি অক্ষয় সিংকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য গুজরাটের দাহোডের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। অক্ষয় সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ খরেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ব্রডকাস্ট এডিটার্স অ্যাসোসিয়েশন।

 

 

.