জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত পঞ্জাব, মৃত অন্তত ১৩, উঠে আসছে আইএসআই, লস্কর যোগের তত্ত্বও

আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত পঞ্জাবের গুরদাসপুর। গাড়ি,বাস,থানা হাসপাতালে নির্বিচারে গুলি চালাল জঙ্গিরা। বেপরোয়া হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের সাধারণ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এসপি সহ ৬ পুলিসকর্মীও। খতম দুই জঙ্গিও। ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রথমে গুরদাসপুরে একটি বাস লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। মারা যান তিন বাস যাত্রী। বাসটি পঞ্জাব থেকে জম্মু যাচ্ছিল। পরে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেনার পোশাকে দীননগর থানায় ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। অতর্কিত হানায় থানার ভিতর থাকা ছয় পুলিসকর্মীর মৃত্যু হয়। মারা যান লকআপে থাকা তিন বন্দিও। গুলির লড়াইয়ে মারা যান গুরদাসপুরের SP বলজিত্‍ সিং।  জঙ্গিরা একটি গাড়ি হাইজ্যাক করে হামলা চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে  দুজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। দলে এক মহিলা জঙ্গিও রয়েছে।

Updated By: Jul 27, 2015, 03:35 PM IST
জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত পঞ্জাব, মৃত অন্তত ১৩, উঠে আসছে আইএসআই, লস্কর যোগের তত্ত্বও

ব্যুরো: আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত পঞ্জাবের গুরদাসপুর। গাড়ি,বাস,থানা হাসপাতালে নির্বিচারে গুলি চালাল জঙ্গিরা। বেপরোয়া হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের সাধারণ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এসপি সহ ৬ পুলিসকর্মীও। খতম দুই জঙ্গিও। ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রথমে গুরদাসপুরে একটি বাস লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। মারা যান তিন বাস যাত্রী। বাসটি পঞ্জাব থেকে জম্মু যাচ্ছিল। পরে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেনার পোশাকে দীননগর থানায় ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। অতর্কিত হানায় থানার ভিতর থাকা ছয় পুলিসকর্মীর মৃত্যু হয়। মারা যান লকআপে থাকা তিন বন্দিও। গুলির লড়াইয়ে মারা যান গুরদাসপুরের SP বলজিত্‍ সিং।  জঙ্গিরা একটি গাড়ি হাইজ্যাক করে হামলা চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে  দুজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। দলে এক মহিলা জঙ্গিও রয়েছে।

পঞ্জাবের জঙ্গি হানায় তটস্থ দেশ। ঠিক কীভাবে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তা নিয়ে এখনও কাটেনি ধোঁয়াশা। তবে প্রাথমিকভাবে যা তত্ত্ব উঠে আসছে তার থেকে মনে করা হচ্ছে প্রথমে একটি মারুতি এইট হান্ড্রেড হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। তাতে চেপেই হামলা চলে রাজ্য পরিবহণের একটি বাসের ওপর। সেখান থেকে হানা দেয় দীননগর থানায়। যখন জঙ্গিহানা চলছে পুরোদমে তখনই পাঠানকোট থকে দীননগর ট্রেন লাইনে উদ্ধার হয় পাঁচটি আইইডিও। তবে থানায় হামলা চালিয়েও ক্ষন্ত দেয়নি জঙ্গিরা। তাণ্ডব চালায় লাগোয়া হাসপাতালেও। এরপর দীননগর থানাতে এসে আশ্রয় নেয় চার জঙ্গি। সেখানে থানার ভিতড়ে যথেচ্ছ গুলিও চালায় তারা। পরে পাশের পরিত্যক্ত বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে জঙ্গিরা। সেখান থেকেই পুলিসের সঙ্গে চলতে থাকে গুলির লড়াই।

পঞ্জাব হামলার পিছনে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরাই। অনুমান সেনা গোয়েন্দাদের। হামলার পিছনে লস্কর-যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সেনা গোয়েন্দারা। উঠে আসছে খালিস্তানপন্থীদের কথাও। সেনা গোয়েন্দা সূত্রে খবর,  পাকিস্তানের নারোয়াল দিয়ে এদেশে ঢোকে জঙ্গিরা। এরপরই নাশকতার উদ্দেশ্যে গুরদাসপুরের দিকে রওনা হয় তারা। হামলার কারণ বিশ্লেষণে উঠে আসছে অন্য একটি তত্ত্বও। দিনকয়েক আগেই কাশ্মীর থেকে কয়েকজন জঙ্গিকে পঞ্জাবে আনা হয়েছিল। তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্নও তুলেছিল। প্রশ্ন উঠছে, সেই জঙ্গিদের ছাড়াতেই কি আজকের হামলা? উঠে আসছে আইএসআই যোগের তত্ত্বও।

পাকিস্তানি মদপুষ্ট জঙ্গিরাই হামলা চালিয়েছে পঞ্জাবে। মত বিশেষজ্ঞদের। তবে পাশাপাশি খালিস্তানি জঙ্গি যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না মেজর জেনারেল জিডি বক্সি।

.