'স্বার্থের দ্বন্দ্বে' সৌরভ, গাভাসকর, কুম্বলে, শ্রীকান্ত, শাস্ত্রীর নাম সুপ্রিমকোর্টে জানাল বোর্ড

আইপিএল-এ বাণিজ্যিক স্বার্থ ও বোর্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন কয়েকজনের নামের তালিকা বুধবার সুপ্রিমকোর্টে জমা দিল বিসিসিআই।

Updated By: Dec 18, 2014, 10:04 AM IST
'স্বার্থের দ্বন্দ্বে' সৌরভ, গাভাসকর, কুম্বলে, শ্রীকান্ত, শাস্ত্রীর নাম সুপ্রিমকোর্টে জানাল বোর্ড

ওয়েব ডেস্ক: আইপিএল-এ বাণিজ্যিক স্বার্থ ও বোর্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন কয়েকজনের নামের তালিকা বুধবার সুপ্রিমকোর্টে জমা দিল বিসিসিআই।

এই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতের সর্বকালের সেরা কিছু ক্রিকেটারের। তালিকায় আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, সুনীল গাভাসকর, শ্রীকান্ত, রবি শাস্ত্রী এমনকি অনিল কুম্বলের নামও।

শ্রীকান্ত একদিকে যেমন বিসিসিআই-এর সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান অন্যদিকে, তিনি হায়দরাবাদ সাইরাজেস দলের মেন্টর। বিচারপরি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁর এই দ্বৈত ভূমিকার দিকে আঙুল তুলে বলেছেন 'আইপিএল-এ আপনি যে ভূমিকায় আছেন তার সঙ্গে কিছু বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে। কিন্তু যিনি জাতীয় দলের নির্বাচন কমিটির প্রধান, নিজের দল থেকে কোনও ক্রিকেটারকে জাতীয়দলে তিনি খেলার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠতেই পারে।''

বিসিসিআই-এর ৬.২.৪ এই নিয়ম অনুযায়ী কোনও বোর্ড সদস্য বাণিজ্যিক স্বার্থে আইপিএল-এর অংশীদার হতে পারেন।

চেন্নাই সুপারকিংস ও রাজস্থান রয়্যালস-এর নাম আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ আদালত বোর্ডকে একটি তালিকা জমা দিতে বলে যাঁরা বোর্ডের ৬.২.৪ এই আইন অনুযায়ী সুবিধা পেয়েছেন বা পেতে পারেন।

যদি শীর্ষ আদালত বিসিসিআই-এর এই নিয়মটি বাতিল করে তাহলে আর সম্ভবত বিসিসিআই-এর শীর্ষপদ ফিরে পাবেন না শ্রীনিবাসন। এমনকি তাঁর কোম্পানি ইন্ডিয়া সিমেন্টস আইপিএল ফ্র্যানচাইজি হওয়ার অধিকার হারাবে।

বিসিসিআই কাউন্সিল সিএ সুন্দরম অবশ্য অ্যাপেক্স কোর্টে দাবি করেছেন শীর্ষ আদালতের সত্যিই এর সঙ্গে কোনও স্বার্থ জড়িত আছে কিনা শুধু তার দিকে নজর দেওয়া।

উত্তরে শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন ''যদি ওনার কোনও নির্দিষ্ট স্বার্থ জড়িত থাকে এবনহ একই সঙ্গে যদি তিনি জাতীয় দলের নির্বাচক হন, তাহলে এই আইন সংশোধিত না হলে তিনি নির্বাচক থাকতে পারেন না।

শ্রীনিবাসনকে বাঁচাতে এরপর কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম টেনে আনেন সুন্দরম। তাঁর দাবি ''গাঙ্গুলি একাধারে যেমন আইপিএল-এর এক্সপার্ট কমেন্টেটর হিসাবে কাজ করেছেন অন্যদিকে আবার  একটি দলের মেন্টরও ছিলেন। গাঙ্গুলির মতই অনেকে একদিকে যেমন পেশাগত সুবিধা পেয়েছেন অন্যদিকে, তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেছে বিশেষজ্ঞের মন্তব্যও।''  

তবে আদালত সুন্দরমের এই যুক্তিতে খুব একটা আমল দেয়নি। আদালতের উল্টো যুক্তি ''যদি একজন প্লেয়ার মাঠে খেলেন আর একজন কমেনটেটর কমেন্ট করেন কীভাবে বল করা হচ্ছে, এর সঙ্গে কীভাবে বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িয়ে থাকতে পারে?''

শ্রীনিবাসনের আইনজীবী বর্ষিয়ান কপিল সিব্বল অবশ্য শীর্ষকোর্টের সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি একজন প্রশাসক একই সঙ্গে কোনও দলের ফ্র্যানচাইজির মালিক হওয়া মানেই তার সঙ্গে স্বার্থ জড়িত থাকবে এর কোনও মানে নেই। তাঁর মতে সবক্ষেত্র এমনকি বিচারকদের মধ্যেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব কাজ করে।

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন '' ৬.২.৪- বোর্ডের এই নিয়মের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং বা বেটিং-এর কোনও সম্পর্ক নেই। ৯০-এর দশকেও বেটিং, ফিক্সিং হয়েছে, যখন এই নিয়মের কোনও অস্তিত্ব ছিল না।''

 

.