ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল ভারত!

সালটা ছিল ১৯৪৬। মার্চ মাস। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন। খেলা চলছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। হালকা হাওয়া বইছে। তারমধ্যেই শুরু হল খেলা। অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে সেদিন কার্যত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং। একবার নয়, পরপর দুই ইনিংসেই ওয়াল্টার হ্যাডলি, ম্যাচ অ্যান্ডারসন, ভরদুন স্কটরা ভেঙে পড়েছিলেন সেদনি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ড হারিয়েছিল ৮ উইকেট। গতকাল ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচের ফল সেই স্মৃতিকেই উস্কে দিল। মাত্র ৮ রানে ইংল্যান্ডও হারাল ৮ উইকেট। সৌজন্যে তরুণ তুর্কি বোলার যুজবেন্দ্র চাহল।

Updated By: Feb 2, 2017, 02:03 PM IST
ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল ভারত!

ওয়েব ডেস্ক : সালটা ছিল ১৯৪৬। মার্চ মাস। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন। খেলা চলছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। হালকা হাওয়া বইছে। তারমধ্যেই শুরু হল খেলা। অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে বোলিংয়ের সামনে সেদিন কার্যত তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং। একবার নয়, পরপর দুই ইনিংসেই ওয়াল্টার হ্যাডলি, ম্যাচ অ্যান্ডারসন, ভরদুন স্কটরা ভেঙে পড়েছিলেন সেদনি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ড হারিয়েছিল ৮ উইকেট। গতকাল ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচের ফল সেই স্মৃতিকেই উস্কে দিল। মাত্র ৮ রানে ইংল্যান্ডও হারাল ৮ উইকেট। সৌজন্যে তরুণ তুর্কি বোলার যুজবেন্দ্র চাহল।

আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা বাংলাদেশের, ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে নেই মুস্তাফিজুর

দুটি খেলায় দুই রেকর্ড। একটি ৭১ বছর আগের রেকর্ড। অন্যটি ৭১ বছর পরের। ওয়েলিংটনের সেই ম্যাচে যেমন নিউজিল্যান্ডের সামনে জুজু'র ভয় তৈরি করেছিলেন উলিয়াম জোশেপ ও'রেইলি, তেমনই গতকালের ম্যাচে ইংল্যান্ডকেও জুজু দেখালেন যুজবেন্দ্র চাহল। আর মজার ঘটনা দু'জনের বোলিং স্টাইলই এক। সেই লেগব্রেক গুগলি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কথায় সেদিনের সেই টাইগারকে(উলিয়াম জোশেপ ও'রেইলি) মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন চাহল।

                                                  সেদিনের সেই খেলার একটি দৃশ্য

 

সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও যুবরাজ সিংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের দাপটে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে জেতার জন্য ২০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু তারপর জেশন রয় ও জো রুটের হাত ধরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে মরগ্যানের দল। একটা সময় রয়ের আউট হওয়ার পর রুট ও মরগ্যান দলের রান পৌঁছে দেন ১১৯-এ। রান তোলার গতি দেখে মনে হচ্ছিল এবার ভারতকে চাপ দেওয়ার জায়গা তৈরি করছে ইংল্যান্ড। কিন্তু তারপর? তারপর যা হল বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে তা দ্বিতীয়বার ঘটল। যুজবেন্দ্র চাহলের ঘূর্ণির সামনে পরপর উইকেট হারাতে শুরু করে ইংরেজ বাহিনী। নিজের চার ওভারে ২৫ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন চাহল। সেই সঙ্গে ১১৯ রান থেকে মাত্র ৮ রান যোগ করতে দেন ইংল্যান্ডকে। ভারত ম্যাচ জেতে ৭৫ রানে। সেই সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে যায়।

.