জয়ের গলায় পেনাল্টির কাঁটা ফোটালেন করিম, বাংলাদেশের ক্লাবকে হারিয়ে কার্যত সেমিতে মহামেডান

জয় দিয়ে শিল্ড অভিযান শুরু করল মোহনবাগান। রবিবার যুবভারতীতে শিল্ডের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড সিকিমকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল করিম বেঞ্চিরিফার দল। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সাবেথ। কিন্তু জয়ের মাঝেও পেনাল্টি বিতর্ক তাড়া করল মোহনবাগানকে।

Updated By: Feb 2, 2014, 10:11 PM IST

মোহনবাগান (১) ইউনাইটেড সিকিম (০)

মহামেডান (২) ধানমুন্ডি ক্লাব (১)

জয় দিয়ে শিল্ড অভিযান শুরু করল মোহনবাগান। রবিবার যুবভারতীতে শিল্ডের প্রথম ম্যাচে ইউনাইটেড সিকিমকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল করিম বেঞ্চিরিফার দল। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সাবেথ। কিন্তু জয়ের মাঝেও পেনাল্টি বিতর্ক তাড়া করল মোহনবাগানকে।

দ্বিতীয়ার্ধে সাবেথকে ইউনাইটেড গোলকিপার বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বল তুলে তা মারতে তৈরি হয়ে যান কাতসুমি। কিন্তু কোচ করিম তাঁকে মারতে নিষেধ করেন। কাতসুমির পরিবর্তে জাকিরকে পেনাল্টি মারতে বলেন কোচ করিম।

ইউনাইটেড পেনাল্টি বক্সের সামনে এই নাটক দেখে ফের একবার করিম আর কাতসুমির সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। পরে পেনাল্টি মিস করেন জাকির। ম্যাচের শেষে মোহনবাগান কোচ খোলসা করেন কাতসুমিকে পেনাল্টি না মারতে দেওয়ার কারণ। করিম জানান,আই লিগের প্রথম ম্যাচে কাতসুমি পেনাল্টি মিস করার পর থেকেই ঠিক ছিল যে দলে ওডাফা না থাকলে পরের পেনাল্টি মারবেন জাকির। তাই রবিবার কাতসুমির পরিবর্তে পেনাল্টি মারেন জাকির।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ধানমুন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে কার্যত আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মহমেডান। পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশের ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারাল সঞ্জয় সেনের দল। মহমেডানের হয়ে গোলগুলি করেন অসীম বিশ্বাস আর জোসিমার। পিছিয়ে পড়েও বিদেশি দলটির বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে দিল সাদা-কালো শিবির। বাংলাদেশের দলটির বিরুদ্ধে তিন বিদেশিকেই শুরু থেকে খেলান মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন। খেলার শুরু থেকেই গতি আর স্কিল দিয়ে নজড় কাড়ে ধানমুন্ডি ক্লাব।লুসিয়ানোরা সতর্ক না থাকলে প্রথম পনেরো মিনিটেই লিড নিয়ে নিতে পারত বাংলাদেশের ক্লাবটি।

বিরতির আগে দুরপাল্লার দুরন্ত শট থেকে গোল করে ধানমুন্ডিকে এগিয়ে দেন সনি। পিছিয়ে পড়লেও দমে যায়নি মহমেডান। রাকেশ মাসির জায়গায় মনীশ মাথানিকে নামিয়ে বাজিমাত করেন সঞ্জয় সেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরাবার সুবর্ন সুযোগ পেয়েছিল মহমেডান। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন জোসিমার।

মহমেডানের আক্রমনাত্মক ফুটবলের কাছে হার মানতে হয় বাংলাদেশের দলটির ডিফেন্সকে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে গোল করে মহমেডানকে সমতায় ফেরান অসীম বিশ্বাস। খেলা শেষ হওযার পাঁচ মিনিট আগে গোল করে মহমেডানকে দুরন্ত জয় এনে দেন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার জোসিমার। ফেডারেশন কাপে গ্রুপ লিগে অপরাজিত থেকেও শেষ চাপে যাওয়া হয়নি সঞ্জয় সেনের দলকে। কোনও অঘটন না ঘটলে মহমেডানের শিল্ডের শেষ চারে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

.