ওস্তাদের মার শেষ রাতে, ফের ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ

ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ফের ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ। লিসবনের পর এবার মিলান। তিন বছরের ব্যবধানে মাদ্রিদ ডার্বিতে বাজিমাত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন জিনেদিন জিদানের রিয়াল। মেগা ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে শেষ গোলটি করে রিয়ালের ইউরোপ জয় নিশ্চিত করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই নিয়ে এগারোবার ইউরোপ সেরা হল রিয়াল মাদ্রিদ। আর একবার স্বপ্নভঙ্গের রাত দিয়েগো সিমিওনের দলের জন্য। মিলানে হাইভোল্টেজ ফাইনাল দেখতে মাঠ ভরিয়েছিলেন দুদলের সমর্থকরা। ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শুরু অবশ্য ভাল করেছিল জিদান অ্যান্ড কম্পানি। ম্যাচের পনেরো মিনিটে সার্জিও র‍্যামসের গোলে এগিয়ে যায় লস ব্ল্যাঙ্গস। সেই সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বেল,রোনাল্ডোরা। ফাইনালের চাপটা টের পাচ্ছিল অ্যাটলেটিকো। বল দখলের লড়াইয়ে টেক্কা দিচ্ছিলেন মদ্রিচ,ক্রুজরা। আসতে আসতে ম্যাচে ফিরতে থাকে সিমিওনে ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্যারাসকোকে নামিয়ে দেল সিমিওনে। এরই মধ্যে টোরেসকে বক্সের মধ্যে পেপে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় অ্যালেটিকো। দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন অ্যাটলেটিকোর তারকা স্ট্রাইকার অ্যান্টনিও গ্রেজম্যান। গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গ্রেজম্যানের শট ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে।

Updated By: May 29, 2016, 05:00 PM IST
ওস্তাদের মার শেষ রাতে, ফের ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ

ওয়েব ডেস্ক: ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ফের ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ। লিসবনের পর এবার মিলান। তিন বছরের ব্যবধানে মাদ্রিদ ডার্বিতে বাজিমাত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন জিনেদিন জিদানের রিয়াল। মেগা ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে শেষ গোলটি করে রিয়ালের ইউরোপ জয় নিশ্চিত করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই নিয়ে এগারোবার ইউরোপ সেরা হল রিয়াল মাদ্রিদ। আর একবার স্বপ্নভঙ্গের রাত দিয়েগো সিমিওনের দলের জন্য। মিলানে হাইভোল্টেজ ফাইনাল দেখতে মাঠ ভরিয়েছিলেন দুদলের সমর্থকরা। ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে শুরু অবশ্য ভাল করেছিল জিদান অ্যান্ড কম্পানি। ম্যাচের পনেরো মিনিটে সার্জিও র‍্যামসের গোলে এগিয়ে যায় লস ব্ল্যাঙ্গস। সেই সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বেল,রোনাল্ডোরা। ফাইনালের চাপটা টের পাচ্ছিল অ্যাটলেটিকো। বল দখলের লড়াইয়ে টেক্কা দিচ্ছিলেন মদ্রিচ,ক্রুজরা। আসতে আসতে ম্যাচে ফিরতে থাকে সিমিওনে ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্যারাসকোকে নামিয়ে দেল সিমিওনে। এরই মধ্যে টোরেসকে বক্সের মধ্যে পেপে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় অ্যালেটিকো। দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন অ্যাটলেটিকোর তারকা স্ট্রাইকার অ্যান্টনিও গ্রেজম্যান। গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গ্রেজম্যানের শট ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে।

এরপর রিয়ালের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বেনজেমা,রোনাল্ডোদের সামনে। উনআশি মিনিটে সমতা ফেরায় অ্যাটলেটিকো। গোল করে দলকে বাঁচিয়ে রাখেন সুপার সাব ক্যারাসকো। নির্ধারিত সময় ম্যাচের ফল ১-১ থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। একশো কুড়ি মিনিটেও দুই মাদ্রিদের মধ্যে পার্থক্য ছিল না। রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে রিয়ালের হয়ে পরপর গোল করেন মদ্রিচ, মার্সেলো,বেল,র‍্যামসরা। অন্যদিকে পেনাল্টি নষ্ট করে অ্যাটলেটিকো শিবিরের ভিলেন জুয়ান ফ্রান। শেষ শটটিতে গোল করে রিয়ালকে ইউরোপ সেরা করলেন রোনাল্ডো। লিসবনের মতো মিলানেও দুঃস্বপ্নের রাত অ্যাটলেটিকোর। শেষ হাসি হাসলেন রোনাল্ডো, জিদানরা। 

.