নিজের কেরিয়ার নিয়ে সংশয়ে রাফা

রাফায়েল নাদালের কেরিয়ারে বোধহয় সত্যিই এবার প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের টেনিস ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ফেললেন স্বয়ং নাদাল! গত সোমবারই `ভ্যানিটি ফেয়ার` ম্যাগাজিনের স্প্যানিশ এডিশনের বিচারে বছরের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই স্প্যানিশ টেনিস তারকা। আর ওই দিনই একটি ইংরেজি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রাফার সাক্ষাৎকার পড়ে হতাশ সারা বিশ্বের অগণিত নাদালভক্ত সহ তামাম টেনিস কুল।

Updated By: Sep 18, 2012, 08:17 PM IST

রাফায়েল নাদালের কেরিয়ারে বোধহয় সত্যিই এবার প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। সবাইকে চমকে দিয়ে নিজের টেনিস ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ফেললেন স্বয়ং নাদাল! গত সোমবারই `ভ্যানিটি ফেয়ার` ম্যাগাজিনের স্প্যানিশ এডিশনের বিচারে বছরের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই স্প্যানিশ টেনিস তারকা। আর ওই দিনই একটি ইংরেজি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রাফার সাক্ষাৎকার পড়ে হতাশ সারা বিশ্বের অগণিত নাদালভক্ত সহ তামাম টেনিস কুল।
বেশ কয়েকদিন ধরেই হাঁটুর চোটে ভুগছেন ২৬ বছরের এই টেনিস তারকা। চোটের জন্যেই সমস্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে লন্ডন অলিম্পিকস থেকে নাম তুলে করে নেন তিনি। একই কারণে খেলতে পারেননি এবারের ইউএস ওপেনও। চলতি বছরের গোড়াতেই জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে রেকর্ড সংখ্যক ৭ বারের জন্য ফ্রেঞ্চ ওপেন জেতেন রাফা। কিন্তু উইম্বল্ডনের দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে আকস্মিক বিদায় নেন বিশ্বের প্রাক্তন ১ নম্বর। তারপর থেকেই হাঁটুর সমস্যার কারণে দীর্ঘ বেশ কয়েক দিন কোর্টের বাইরে তিনি।
সদ্য প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে নাদাল জানিয়েছেন, চোট ধরা পড়ার আগে চলতি বছরেই রোলা গ্যাঁরোতে তিনি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছেন। নাদাল বলেছেন, `` মাত্র ১৬ বছর বয়েসে আমি খেলা শুরু করেছি। ৫ বছর পরে আমার বয়স হবে ৩১। কিন্তু এই চোট নিয়ে আর কতদিন আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারব জানি না। হয়ত সময়ের আগেই টেনিসে যতি চিহ্ন টানতে হবে আমাকে।``
মাত্র ২৬ বছর বয়সেই ১১ টা গ্র্যান্ডস্লামের অধিকারী নাদাল ইতিমধ্যেই সর্বকালের সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ফেডেরারের বিশ্বরেকর্ড নাদাল ভাঙতে পারবেন কিনা, ভাঙলেও আর কটা গ্র্যান্ডস্লাম লাগবে ফেডেরারকে ছাপিয়ে যেতে, তাই নিয়ে টেনিস জগত যখন হিসাবে মগ্ন ঠিক তখনই নাদালের এরকম একটি সাক্ষাৎকারে হতাশ সবাই।
`` শুধুমাত্র জয় দিয়ে কারোর সাফল্য বিচার করা যায় না। জেতার জন্য কেউ ঠিক কতটা পরিশ্রম করছে সাফল্য লুকিয়ে থাকে তার মধ্যে। জেতার জন্য কেউ যখন তার সবটুকু দিয়ে দেয় সেই অনুভূতির কোন তুলনা হয় না। এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরে গেছিলাম। যেকোনও হারের মতো সেটাও সুখকর ছিল না। কিন্তু তাও কোথাও একটা স্বস্তি ছিল। কারণ এরকম একটা পরাজয়ের মধ্যেও কোথাও না কোথাও সাফল্য লুকিয়ে থাকে।`` বিশ্বের অধুনা ৪ নম্বর নাদাল ঠিক এইভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাফল্যের।

.