শতক-সম্রাট সচিনের সেকাল থেকে একাল

ঝাঁকরা চুলের ছোট্ট সচিনের ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে আসে দাদা অজিত তেন্ডুলকরের। তেন্ডলাকে মুম্বইয়ের বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেকরের কাছে ভর্তি করে দিয়ে এসেছিলেন দাদা অজিত। শিবাজি পার্ক থেকেই শুরু মাস্টারের ক্রিকেট সাধনা। ১৯৮৯-এ অভিষেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।

Updated By: Mar 17, 2012, 05:57 PM IST

ঝাঁকরা চুলের ছোট্ট সচিনের ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে আসে দাদা অজিত তেন্ডুলকরের। তেন্ডলাকে মুম্বইয়ের বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেকরের কাছে ভর্তি করে দিয়ে এসেছিলেন দাদা অজিত। শিবাজি পার্ক থেকেই শুরু মাস্টারের ক্রিকেট সাধনা। ১৯৮৯-এ অভিষেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তারপরের আড়াই দশক সেই তেন্ডলাই  ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করছে। মীরপুরে মহাকীর্তির পর সচিনকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ক্রিকেটবিশ্ব। তেন্ডলা থেকে সচিন তেন্ডুলকর হওয়ার মাঝে ফিরে দেখা কিংবদন্তি ক্রিকেটারের বেশ কিছু অজানা কাহিনি।
 
ছোট সচিনের মধ্যে জেদ আর হার না-মানা মনোভাব লক্ষ করেছিলেন আচরেকর। রোজ দিনের শুরুতে সচিনের উদেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতেন কোচ। একবারও আউট না হয়ে একটা সেশন কাটাতে পারলে কোচের কাছ থেকে একটা কয়েন পেতেন সচিন। একরকম ১৩টা কয়েন রয়েছেন তেন্ডুলকরের কাছে।
 
সচিনের মহাকীর্তির মাঝে অনেক রেকর্ডই চাপা পড়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে পা দেওয়ার আগে রঞ্জি ট্রফি, ইরানি ট্রফি, দলীপ ট্রফিতে অভিষেকেই শতরান করার অনন্য রেকর্ড রয়েছে সচিনের দখলে।
 
ভারতের মাটিতে প্রথমবার বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ১৯৮৭ সালে। সেবছর মুম্বইয়ে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমিফাইনাল ম্যাচে বল বয় ছিলেন সচিন।
 
স্কুল ক্রিকেটে বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে জুটি বেঁধে ৬৬৪ রান করার পর তিহার জেলের দুটো ওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছিল এই ক্রিকেটারের নামে।

২০০১ সালে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে লক্ষ্মণ আর দ্রাবিড়ের ৩৭৬ রানের পার্টনারশিপের মাঝে ঢাকা পড়ে যায় বোলার সচিনের কৃতিত্ব। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাথু হেডেন, অ্যাডাম গিলক্রিস্টসহ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন মাস্টার।
 
মাস্টারকে অনন্য সম্মান জানিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সচিনই হলেন প্রথম অসামরিক ব্যক্তি যাকে বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের সাম্মানিক পদ দেওয়া হয়েছিল।
২৩ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে বহু মাইলস্টোন গড়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ১৯৯০ সালের ১৪ অগাস্ট ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন সচিন। ২০০১-এ জীবনের ৫০ তম শতরানটি করেন সচিন। গত বছর ১১ মার্চ ওয়ার্ল্ড কাপ চলাকালীন নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯৯ তম শতরান করার পর থেকেই লিটল্ মাস্টারের শততম শতরানের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। দীর্ঘ এক বছর পর সেই প্রত্যাশা পূরণ করলেন সচিন। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মীরপুরে এই মাইলস্টোনে পৌঁছন সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারের ৪৬২তম একদিনের ম্যাচে শততম শতরান করার অনন্য নজির গড়লেন মাস্টার ব্লাস্টার।

.