বিধায়ক নন, তাই সাবিত্রীকে চাপ না-নেওয়ার পরামর্শ মমতার

‘ ম্যাডাম আপনি অনেক করেছেন। কিন্তু আমার ওপর মানুষের চাপ রয়েছে।‘সাবিত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ,  ‘আপনি এখন বিধায়ক নন। আপনার ওপর এখন আর কোনও চাপ নেই। মন দিয়ে দলের কাজ করুন।‘

Updated By: Feb 20, 2018, 08:31 PM IST
বিধায়ক নন, তাই সাবিত্রীকে চাপ না-নেওয়ার পরামর্শ মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন:  মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের মুখে বারবারই পা পিছলে গিয়েছে তাঁর। এখন যে তাঁর ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশি নন বিলক্ষণ  টের পাওয়া গিয়েছে মঙ্গলবার। এদিন মালদার প্রশাসনিক বৈঠকে সকলের সামনেই সাবিত্রী মিত্রকে এড়িয়ে গেলেন মমতা।

মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে ওঠেন সাবিত্রী মিত্র। তাঁকে প্রথমে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মমতা। সাবিত্রীকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই মমতা বলেন, ‘এটা একটা প্রশাসনিক বৈঠক। সবার সঙ্গে কথা বলার নয়।‘

 কিন্তু সেই কথার ফাঁকেই সাবিত্রী মিত্র বলতে শুরু করেন, ‘ ম্যাডাম আপনি অনেক করেছেন। কিন্তু আমার ওপর মানুষের চাপ রয়েছে।‘ এর পর সাবিত্রী মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,   ‘আপনি এখন বিধায়ক নন। আপনার ওপর এখন আর কোনও চাপ নেই। মন দিয়ে দলের কাজ করুন।‘

আরও পড়ুন: নজরে ১০০ ভরি সোনা, জমিদার বাড়ির মেয়ে ভারতীর লকারে তল্লাশি সিআইডি-র

প্রসঙ্গত, ‘পরিবর্তনে’র সরকারের প্রথম ধাপে মন্ত্রী হলেও গত পাঁচ বছর ভাল কাটেনি সাবিত্রীর। জেলা দলেরই প্রভাবশালী নেতা তথা আরেক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন বার বার। তার জেরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের মুখে একাধিকবার ‘পা পিছলে’ গিয়েছে তাঁর। মন্ত্রিত্বে থাকলেও ধীরে ধীরে তার ধার কমেছে এমন নানা কারণে। সরকারের প্রায় লক্ষ টাকা খরচ করে চশমা বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছিলেন মন্ত্রী সাবিত্রী। তড়িঘড়ি সেই টাকা সরকারের ঘরে ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও মমতার দরবারে পুরনো জায়গা ফিরে পাননি।  

 

.