শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত সাঁইথিয়া, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

সাঁইথিয়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ সুকুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে৷

Updated By: Nov 13, 2018, 12:08 PM IST
শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত সাঁইথিয়া, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমে ফের শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বহরা গ্রাম। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। গ্রামে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও একজন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। গ্রামে টহল দিচ্ছে RAF-ও।

বীরভূমে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূম গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় মাঝে মাঝেই শিরোনামে উঠে আসে। কখনও পাঁড়ুই, কখনও লাভপুর, কখনও সাঁইথিয়া। এদিন বোমাবাজিতে আতঙ্ক ছড়াল সাঁইথিয়ার বহরা গ্রামে। স্থানী বাসিন্দাদের অভিযোগ, কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রাশ, এই নিয়ে সাঁইথিয়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ সুকুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে৷

আরও পড়ুন, হাতে শাখা-পলা, চা বাগান থেকে মিলল আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে একটি ছেলেকে মারধরের পর তাঁর আঙুল কেটে দেওয়া হয়। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। এরপর সোমবার রাতে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। রাতভর চলে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই, বোমাবাজি। এদিন সকাল থেকে ফের নতুন বোমাবাজি শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নাসের শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর মুখে গুলি লেগেছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন তিনি।

ব্লক সভাপতি সাবের আলির গ্রামের বাড়িতেও এদিন সকালে হামলা হয়েছে বলে খবর। সকালে রাস্তায় তাজা বোমা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের দেওয়ালে, দরজায় ছিল বোমা মারার দাগ। সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতার অভাবে ভুূগছেন।

আরও পড়ুন, একটা 'হাল্কা শব্দ' ভেসে আসছে, ঘরে পা দিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন গৃহকর্ত্রী

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য, এই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারাও গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা-ই বলেছেন।

.