কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতা খুনে মুম্বই থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা!

তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতা জাহির শেখ খুনে মুম্বই থেকে ধৃত মাস্টারমাইন্ড সাহিদুল্লাহ শেখ। সুপারি কিলার দিয়ে জাহিরকে খুন করায় বলে জেরায় কবুল এই তৃণমূল নেতার। এখনও অধরা অভিযুক্ত আরেক তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির শেখ। গত ১২ এপ্রিল পার্টি অফিস থেকে সেলুনে রওনা দেন জাহির শেখ। বাদশাহী রোড ধরে ছুটছিল তাঁর বাইক। পুলিসের দেওয়া দেহরক্ষীর পিছনের সিটে ছিলেন জাহির। রাইখাঁ মোড়ে কাছে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। বাইক থেকে পড়ে যান জাহির। দেহ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় ৭-১০টা বুলেট। জাহির খুনে অবশেষে পুলিসের জালে পড়ল মাস্টারমাইন্ড। মুম্বইয়ের নাগরি থেকে গ্রেফতার সাহিদুল্লাহ শেখ ওরফে উজ্জ্বল। ঘটনার পর থেকেই সাগরেদ দীপু শেখকে নিয়ে ফেরার ছিল কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাহিদুল্লাহ। কীভাবে তাকে ট্র্যাক করল পুলিস? ঘটনার পর কয়েকদিন কেতুগ্রামেই ছিল উজ্জ্বল। ১৮ এপ্রিল পালিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের রায়পুর। ২৬ এপ্রিল সেখান থেকে পালিয়ে যায় মুম্বইয়ের দাদার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার একটি টিম রায়পুর থেকেই তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। দাদারে রেড করার আগেই ডেরা বদলায় উজ্জ্বল ও দীপু। সেখান থেকে মুম্বইয়ের নাগরি। বারবার ডেরা বদলাতে থাকে। অবশেষে ২৬ মে নাগরিতে তাদের ধরে ফেলে পুলিস।

Updated By: May 28, 2017, 07:38 PM IST
কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতা খুনে মুম্বই থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা!

ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতা জাহির শেখ খুনে মুম্বই থেকে ধৃত মাস্টারমাইন্ড সাহিদুল্লাহ শেখ। সুপারি কিলার দিয়ে জাহিরকে খুন করায় বলে জেরায় কবুল এই তৃণমূল নেতার। এখনও অধরা অভিযুক্ত আরেক তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির শেখ। গত ১২ এপ্রিল পার্টি অফিস থেকে সেলুনে রওনা দেন জাহির শেখ। বাদশাহী রোড ধরে ছুটছিল তাঁর বাইক। পুলিসের দেওয়া দেহরক্ষীর পিছনের সিটে ছিলেন জাহির। রাইখাঁ মোড়ে কাছে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি। বাইক থেকে পড়ে যান জাহির। দেহ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় ৭-১০টা বুলেট। জাহির খুনে অবশেষে পুলিসের জালে পড়ল মাস্টারমাইন্ড। মুম্বইয়ের নাগরি থেকে গ্রেফতার সাহিদুল্লাহ শেখ ওরফে উজ্জ্বল। ঘটনার পর থেকেই সাগরেদ দীপু শেখকে নিয়ে ফেরার ছিল কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাহিদুল্লাহ। কীভাবে তাকে ট্র্যাক করল পুলিস? ঘটনার পর কয়েকদিন কেতুগ্রামেই ছিল উজ্জ্বল। ১৮ এপ্রিল পালিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের রায়পুর। ২৬ এপ্রিল সেখান থেকে পালিয়ে যায় মুম্বইয়ের দাদার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার একটি টিম রায়পুর থেকেই তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। দাদারে রেড করার আগেই ডেরা বদলায় উজ্জ্বল ও দীপু। সেখান থেকে মুম্বইয়ের নাগরি। বারবার ডেরা বদলাতে থাকে। অবশেষে ২৬ মে নাগরিতে তাদের ধরে ফেলে পুলিস।

আরও পড়ুন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ফের বিষধর সাপের আনাগোনা

মুম্বইয়ের কোর্টে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কেতুগ্রাম নিয়ে আসা হয় রবিবার। সোমবার তাদের কাটোয়া কোর্টে তোলা হবে। উজ্জ্বল ও দীপুকে জেরা করে পুলিস জেনেছে, জাহিরকে খুন করার মূল ছকটা কষে এই উজ্জ্বলই। সুপারি দেয় এলাকারই দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী তুফান ও লোটাসকে। সেই প্ল্যানমাফিক খুন হন জাহির। কেন খুন হতে হয় কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখকে? তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উজ্জ্বল। জাহিরকে সরিয়ে দিতে পারলেই ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার রাস্তাটা মসৃণ হয়ে যাবে উজ্জ্বলের কাছে। এছাড়া বালি খাদানের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগও এলাকার মানুষের মুখে মুখে ঘোরে।জাহির খুনে ১৫জন অভিযুক্তের মধ্যে আগেই ধরা পড়ে দুজন। এবার পুলিসের হাতে এল মাস্টারমাইন্ড উজ্জ্বল ও দীপু। এখনও অধরা ১১জন অভিযুক্ত। তার মধ্যে রয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির শেখ। উজ্জ্বল ও দীপুকে জেরা করে শুধু সুপারি কিলার তুফান ও লোটাস নয়, জাহাঙ্গিরেরও খোঁজ পেতে চাইছে পুলিস।

আরও পড়ুন বন্দুক পরিষ্কার করতে গিয়ে গুলি বেরিয়ে মৃত্যু এক BSF সাব ইন্সপেক্টরের

.