মানসিক, শারীরিক অত্যাচার করছে সৌম্যজিত্, পুলিসের দ্বারস্থ তুলিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ‘লড়াই করে পেয়েছি ওকে’, সিঁথিতে যখন সৌম্যজিতের পরিয়ে দেওয়া সিঁদুর জ্বলজ্বল করছে, তখন একথা বলেছিলেন তুলিকা।  হ্যাঁ কথা হচ্ছে,  টেবিল টেনিস তারকা সৌম্যজিত্ ঘোষ ও তাঁর প্রেমিকা, স্ত্রী তুলিকা ঘোষ দত্তের কথা।   কিন্তু সেই স্বামীর বিরুদ্ধেই শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিসের দ্বারস্থ  হলেন তুলিকা। বুধবারই বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে সেকথা জানান তিনি।

আক্ষরিকঅর্থেই তুলিকা লড়াই করে পেয়েছিলেন  সৌম্যজিতকে। দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু, প্রেমিক যখন বিশ্বাস ভাঙে তখন যেন এক রাশ হতাশা গ্রাস করে সঙ্গীকে। তুলিকার ক্ষেত্রেও কিছুটা তেমন হয়েছিল। তাঁর দাবি ছিল, সৌম্যজিত্ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার  শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন, কিন্তু পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল তুলিকার লড়াই। গত বছর ২১ মার্চ সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তুলিকা। তখন সম্পর্ক তিক্ত। তবে তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে।

গত ৩ অগাস্ট সৌম্যজিতকেই বিয়ে করেন তুলিকা।  দুঃস্বপ্নের শেষে সেদিন থেকে নতুন করে বাঁচার, রঙিন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাড়ে পাঁচ মাসেই শেষ হল ‘মধুচন্দ্রিমা’র দিনগুলি।  আবার সেই ‘বিচার’ চেয়ে পুলিস প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন তুলিকা।

সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে শারিরীক,  মানসিক নির্যাতন ,  বিশ্বাস ভঙ্গ এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনেছেন তিনি। তূলিকার অভিযোগ,  তাঁকে দিয়ে  জোর  করে বিভিন্ন আইনি  কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ।  না মানলেই  তাঁকে মারধর করা হত ।  সৌম্যজিত্ ছাড়াও তুলিকা তাঁর শ্বশুর বাড়ির আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।