নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলেও দেশে ইন্টারনেটে কলে নিয়ন্ত্রণে রায় কেন্দ্রের

নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে সায় দিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক থামার বদলে বেড়ে গেল আরও কয়েকগুণ। গ্রাহকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু পপুলার মেসেজিং বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কল করার ক্ষেত্রে  নিয়ন্ত্রণবিধি কিম্বা অতিরিক্ত করের পক্ষেই রায় দিয়েছে মোদী সরকার।

Updated By: Jul 16, 2015, 08:58 PM IST
নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলেও দেশে ইন্টারনেটে কলে নিয়ন্ত্রণে রায় কেন্দ্রের

ব্যুরো: নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে সায় দিল কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক থামার বদলে বেড়ে গেল আরও কয়েকগুণ। গ্রাহকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু পপুলার মেসেজিং বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কল করার ক্ষেত্রে  নিয়ন্ত্রণবিধি কিম্বা অতিরিক্ত করের পক্ষেই রায় দিয়েছে মোদী সরকার।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে সায় দিলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে  বিধি আরোপেরও প্রস্তাব করল। স্কাইপ, হোয়াটস অ্যাপ কিম্বা ভাইবারের মত পরিষেবা ব্যবহার করার জন্য আর বাড়তি টাকা নিতে বা ছাড় দিতে পারবে না ইন্টারনেটসংযোগ  প্রদানকারী  সংস্থাগুলো। কিন্তু এই পরিষেবা ব্যবহার করে কথা বলার ওপর বিধি আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রের টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক।

মন্ত্রকের মতে হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ভাইবার, মেসেনজারের মত OTT বা ওভার দ্য টপ পরিষেবাগুলিকে উত্‍‍সাহ দিতে হবে। ইন্টারনেট যে যন্ত্র বা মাধ্যম বা প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহৃত হোক, বা যেকোনও অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার হোক,   চার্জের ক্ষেত্রে কোনও রকম বৈষম্য করা যাবে না।   OTT পরিষেবার আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট কলের বিষয়টি  উদার চোখে দেখা হলেও, দেশের মধ্যে করা   OTT অর্থাত্ হোয়াটস অ্যাপে কথা বলার  মত পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণ বিধির আওতায় আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তবে যাতে টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার  কিম্বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইন্টারনেটে গ্রাহকদের কিছু আদানপ্রদানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে বলেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।   

OTT পরিষেবায় মেসেজিংয়ের জন্য অতিরিক্ত কোনও নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা যাবে না বলেও  স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্রীয় টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক।

এয়ারটেল সংস্থা তাদের পরিষেবা এয়ারটেল জিরো প্ল্যাটফর্মের সূচনা করার পর থেকেই নেট নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্কের শুরু। ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে সংস্থার নেটওয়ার্কে বেশকিছু ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়া যায়। মার্চ মাসে ডট এব্যাপারে জনমত জানতে চেয়েছিল। ২৪ এপ্রিল পর্য়ন্ত অসংখ্য ব্যবহারকারী তাঁদের মতামত জানান।

কিন্তু কেন্দ্র একইসঙ্গে নেট নিরপেক্ষতার পক্ষে সওয়াল করায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট কলের ক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান নেওয়ায় বিতর্ক আদৌ প্রশমিত হল বলে মনে হয় না।

 

.