বিশ্বকাপে বিশ্বসেরার ফ্লপ শো, ব্যলন ডি`অর জিতেও বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় রোনাল্ডোর

ব্যালন ডি’অর হাতে উঠলে সেবার নাকি আর বিশ্বকাপ জেতা যায় না। পুরনো দিনের এই প্রথাকে ভাঙতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বছরের শুরুতেই বর্ষসেরার পুরষ্কার হাতে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই বিশ্বসেরা বিশ্বকাপে একেবারেই ফ্লপ। বিশ্বকাপে ব্যর্থদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

Updated By: Jun 27, 2014, 09:26 AM IST

ব্যালন ডি’অর হাতে উঠলে সেবার নাকি আর বিশ্বকাপ জেতা যায় না। পুরনো দিনের এই প্রথাকে ভাঙতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বছরের শুরুতেই বর্ষসেরার পুরষ্কার হাতে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই বিশ্বসেরা বিশ্বকাপে একেবারেই ফ্লপ। বিশ্বকাপে ব্যর্থদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

এবছর ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদকে ইউরোপ সেরা করিয়েছিলেন সিআর সেভেন। মেসিকে টপকে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন রোনাল্ডো। তাঁর দুরন্ত ফর্মের ঝলক বিশ্বকাপেও দেখতে মুখিয়ে ছিলেন পর্তুগাল সমর্থকরা। কিন্তু বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চোট থাকায় ছন্দে পাওয়া যায়নি রোনাল্ডোকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে ব্রাজিল বিশ্বকাপে একমাত্র গোলটি করেন তিনি। দেশের হয়ে পঞ্চাশটি গোল করা হয়ে গেলেও পর্তুগালকে বিশ্বসেরা করে তুলতে পারেননি তিনি। ব্যালন ডি অর সম্মানে সম্মানিত ফুটবলাররা বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে পারেন না। আবারও সেই মিথকে সত্যি করলেন রোনাল্ডো।

ঘানাকে দুই-এক গোলে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল পর্তুগাল। দেশের হয়ে পঞ্চাশতম গোল করার দিনে হার মানতে হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। গোল পার্থক্যে ছিটকে গেল পাওলো বেন্টোর দল। সাম্বার দেশে ট্রাজিক নায়ক হয়ে গেলেন সিআরসেভেন।

পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ঘানার বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জিতিয়েও শেষ রক্ষা হল না। দুই-এক গোলে ঘানাকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পর্তুগালের। দেশের হয়ে এটা ছিল রোনাল্ডোর পঞ্চাশতম গোল।প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে চার গোল খাওয়াটাই কাল হল। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন শেষ রোনাল্ডোদের। ব্রাসিলিয়ার আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে শুরু অবশ্য ভালোই করেছিল পর্তুগাল। রোনাল্ডোর শট পোস্টে লেগে না ফিরলে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত বেন্টোর দল। একত্রিশ মিনিটে বোয়ের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। সাতান্ন মিনিটেই অবশ্য গোল শোধ করেন আসামোয়া গিয়ান। পর্তুগালের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তখনই। আশি মিনিটে অবশেষে ব্রাজিল বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি পেলেন সিআরসেভেন। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে আরও দুটো সুযোগ এসেছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের সামনে। তবে গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি। রোনাল্ডোর ম্যাচের সেরা হওয়াটা তাই শুধুমাত্র সান্তনা পুরস্কার। নেইমার মেসি শো-এর মাঝে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ট্রাজিক নায়ক হয়ে থেকে গেলেন চলতি বছরে বিশ্বের সেরা ফুটবলার।

.