বাংলাদেশ সফরে সন্ত্রাসদমনের ওপরই জোর দিলেন হিলারি ক্লিনটন

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে একযোগে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন। দুদিনের সফরে শনিবারই বাংলাদেশ পৌঁছেছেন তিনি। সন্ধেয় দুদেশের বিদেশমন্ত্রক স্তরে বৈঠক হয়।

Updated By: May 5, 2012, 09:21 PM IST

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে একযোগে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন। দুদিনের সফরে শনিবারই বাংলাদেশ পৌঁছেছেন তিনি। সন্ধেয় দুদেশের বিদেশমন্ত্রক স্তরে বৈঠক হয়। রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন বিদেশ সচিব। রবিবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন হিলারি ক্লিন্টন।    
বিদেশ সচিব হিসেবে তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফরে শনিবার বিকেলে ঢাকায় পা রাখেন হিলারি ক্লিন্টন। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ পৌঁছন তিনি। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভি। বাংলাদেশে নামার এক ঘণ্টার মধ্যেই বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি ও হিলারি ক্লিন্টনের নেতৃত্বে দু-দেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠক বসে। দুদেশই পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাস দমনে কোনওরকম আপস করা হবে না বলে বৈঠকে জানান হিলারি ক্লিন্টন। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে অংশিদারিত্ব-সহযোগিতা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে দুদেশ। দারিদ্র দূরীকরণে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসেন হিলারি ক্লিন্টন।

মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল সেদেশের বামপন্থী সংগঠনগুলি। শনিবার বিকেলে ঢাকায় প্রেস ক্লাবের সমানে সংগঠনগুলির তরফে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ থেকে "হিলারি গো ব্যাক" ধ্বনি ওঠে। বিক্ষোভকারীরা হিলারি ক্লিনটনের কুশপুত্তলিকাও দাহ করে।

.