বিডিআর বিদ্রোহে অভিযুক্ত ১৫৪ জনের ফাঁসির নির্দেশ বাংলাদেশে

বিডিআর বিদ্রোহে অভিযুক্ত ১৫৪ জনের ফাঁসির নির্দেশ হল বাংলাদেশে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু সহ একশো একষট্টি জনের। আজ এই রায় দিয়েছে ঢাকার নগর দায়রা আদালত।

Updated By: Nov 5, 2013, 08:45 PM IST

বিডিআর বিদ্রোহে অভিযুক্ত ১৫৪ জনের ফাঁসির নির্দেশ হল বাংলাদেশে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু সহ একশো একষট্টি জনের। আজ এই রায় দিয়েছে ঢাকার নগর দায়রা আদালত।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই ঢাকার সদরদফতর দখলে নিয়ে বিদ্রোহ করেছিল বিডিআর জওয়ানরা। বিদ্রোহে নিহত হন ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ ৭৪ জন।

২০০৯-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি গুলির শব্দে কেঁপে উঠেছিল ঢাকা। শুরু হয়েছিল বিডিআর বিদ্রোহ। দুদিন ধরে  ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দফতর দখলে রাখার পর শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে ছিলেন বিদ্রোহীরা। পিলখানার দফতর থেকে একে একে উদ্ধার হয়েছিল ৭৪টি লাশ। যার মধ্যে ৫৭ জন ছিলেন পদস্থ সেনা আধিকারিক। অবশেষে সেই পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হল মঙ্গলবার। বিদ্রোহ ও হত্যার দায়ে ডিএডি তৌহিদ সহ ১৫৪ জনের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আখতারুজ্জামান।
 
যাবজ্জীবন কারাদন্ডের তালিকায় রয়েছে বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর নাম। পিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে ঢাকার স্থানীয় স্তরের আওয়ামি লিগ নেতা তোরাব আলিরও। প্রায় ৮৫০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ২৭১ জনকে বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
 
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামি লিগের সরকার ক্ষমতায় আসার দুমাসের মধ্যেই অসামরিক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিদ্রোহ নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। বিদ্রোহের কারণ হিসেবে অভিযুক্তরা বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রসঙ্গ তুললেও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল বলে দাবি করেছিলেন শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের জেরেই শেষপর্যন্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী নতুন করে পূনর্গঠন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নামে নতুন বাহিনী তৈরি করে হাসিনা সরকার।

.