রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত নেপালে, চক্রান্তের অভিযোগ এনে গণপরিষদের ফল মানতে নারাজ মাওবাদীরা

নেপালে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত। চক্রান্তের অভিযোগ এনে গণপরিষদ নির্বাচনের ফল মানতে নারাজ মাওবাদীরা। ভোটপ্রক্রিয়া খতিয়ে না দেখা হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন প্রচণ্ড। তারপরই আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাহাড়ি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত। এক দশকের গৃহযুদ্ধ শেষে ছবার সরকার বদল হয়েছে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা তো আসেইনি। উল্টে যথাযথ গণতন্ত্রও অধরা রয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবারের গণপরিষদ নির্বাচনে মুক্তি খুঁজছিল ক্লান্ত নেপাল।

Updated By: Nov 22, 2013, 11:32 PM IST

নেপালে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত। চক্রান্তের অভিযোগ এনে গণপরিষদ নির্বাচনের ফল মানতে নারাজ মাওবাদীরা। ভোটপ্রক্রিয়া খতিয়ে না দেখা হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন প্রচণ্ড। তারপরই আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাহাড়ি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত। এক দশকের গৃহযুদ্ধ শেষে ছবার সরকার বদল হয়েছে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা তো আসেইনি। উল্টে যথাযথ গণতন্ত্রও অধরা রয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এবারের গণপরিষদ নির্বাচনে মুক্তি খুঁজছিল ক্লান্ত নেপাল।
কিন্তু ভোটযুদ্ধের পরেও রাজনৈতিক সঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণ নেই। গণপরিষদ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে মাওবাদীরা। দলের শীর্ষ নেতা পুষ্পকুমার দহাল ওরফে প্রচণ্ড জানিয়ে দিয়েছেন, এই নির্বাচনের ফল তাঁরা মানবেন না। গণপরিষদ নির্বাচনে চক্রান্তের অভিযোগ এনে পুরো ভোটপ্রক্রিয়া ফের খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন প্রচণ্ড। নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলি দাবি না মানলে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। গণপরিষদেও অংশ নেবে না বলে হুমকি দিয়েছেন প্রচণ্ড।
 
সংযুক্ত সিপিএন-মাওবাদী জোট শিবিরে যখন বিষাদের ছবি, তখন উত্সবের ছবি ধরা পড়েছে নেপালি কংগ্রেসের শিবিরে। ৭৫টি জেলায় বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পাহাড়ি দেশে সংবিধান তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। কিন্তু প্রচণ্ডের হুমকির পর সেই রাস্তা আদৌ মসৃণ থাকবে কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, সাত বছর আগে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়েছিল নেপালে। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন মাওবাদী শীর্ষ নেতা প্রচণ্ড। কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটেনি। ভোট প্রক্রিয়া ও গণপরিষদে না থাকা নিয়ে প্রচণ্ড যে হুমকি দিয়েছেন, তাতে নেপালে রাজনৈতিক সঙ্কট আরও তীব্র হবে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।
 

.