দেবযানী খোবরাগাড়ে বিতর্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্কে বড়সড় ফাটল, হতাশ হোয়াইট হাউস

দেবযানী খোবরাগাড়েকে কেন্দ্র করে বড়সড় ফাটল ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। এ নিয়ে যথেষ্টই হতাশ হোয়াইট হাউস। কয়েকজন পদাধিকারীর নির্বুদ্ধিতায়, সম্পর্কের এই অবনতি বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সম্পর্কের ফাটল মেরামত করে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে যে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তাও মেনে নিয়েছেন ওই কূটনীতিক।

Updated By: Jan 11, 2014, 10:15 PM IST

দেবযানী খোবরাগাড়েকে কেন্দ্র করে বড়সড় ফাটল ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। এ নিয়ে যথেষ্টই হতাশ হোয়াইট হাউস। কয়েকজন পদাধিকারীর নির্বুদ্ধিতায়, সম্পর্কের এই অবনতি বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সম্পর্কের ফাটল মেরামত করে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে যে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে তাও মেনে নিয়েছেন ওই কূটনীতিক।

ইউপিএ ওয়ানের শুরু থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারই ফল ভারত -মার্কিন পরমাণু চুক্তি। এই চুক্তি ঘিরে সম্পর্কের গ্রাফ অনেকটাই উর্ধ্বমুখী হয়। তারপর সন্ত্রাস সহ নানান ইস্যুতে গভীর হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। হঠাতই ছন্দপতন ঘটে গত বছরের বারই ডিসেম্বর। ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের জেরে সম্পর্কে অবনতির শুরু। তারপর দিন যত এগিয়েছে তত তিক্ত হয়েছে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক। দুদেশই স্বীকার করে নিয়েছে কূটনীতিক হেনস্থা কাণ্ড ছাপ ফেলেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। দেবযানী খোবরাগাড়ে ভারতে ফিরে আসার পরেই এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।

সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে কয়েকজন পদাধিকারীর নির্বুদ্ধিতায়, সম্পর্কের এই অবনতি বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। বারই ডিসেম্বর দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের খবর শুনেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিল হোয়াইট হাউস। যেভাবে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বারাক ওবামা।এনিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রতিদিন ঘটনার গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখতেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস ও মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। তবে সম্পর্কের এই ওঠানামার মধ্যে আশাবাদী ওবামা প্রশাসন।

মার্কিন বিদেশদফতরের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমার আশা এই খারাপ সময় শেষ হয়ে এসছে। ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে নয়াদিল্লি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করবে। দুদেশের সম্পর্ক পুরনো ছন্দে ফিরবে। কিন্তু দেবযানী খোবরাগাড়ে কাণ্ডেক্ষমা চায়নি ওয়াশিংটন। ডার্জ গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে চলছে নয়াদিল্লিও। ফলে দুদেশের সম্পর্ক ছন্দে ফেরা এখুনি সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

.