ভিডিয়ো: চোখের পলক ফেলার আগেই র‍্যাটল স্নেকের মাথায় 'নিনজা' লাথি ইঁদুরের

অ্যারিজোনার মরুভূমিকের মিলিসেকেন্ডের লড়াই।   

Updated By: Mar 29, 2019, 10:00 PM IST
ভিডিয়ো: চোখের পলক ফেলার আগেই র‍্যাটল স্নেকের মাথায় 'নিনজা' লাথি ইঁদুরের

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাতের অন্ধকারে খাবার খুঁজছে সে। আচমকাই ধেয়ে এল বিপদ। কিন্তু রাখে হরি তো মারে কে...চকিতে লাফ দিল ইঁদুর। 

অ্যারিজোনার মরুভূমিতে প্রতি পদে রয়েছে মারণ ফাঁদ। যে কোনও মহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বিষধর র‍্যাটল স্নেক। আর বিষধর সরীসৃপের মুখে পড়া মানে সাক্ষাত্ মৃত্যু। কিন্তু কম যায় না মরুপ্রান্তের ক্যাঙ্গারু ইঁদুর। দেখতে খানিকটা ক্যাঙ্গারুর মতো এই প্রাণীটি। সম্ভবত মরুভূমির বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতির জন্যই তার গঠন এমন। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ক্যাঙ্গারু খুঁজে চলেছে খাবার। আর ঠিক তখনই সেটিকে রাতের খাবার বানাতে তত্পর হয় র‍্যাটল স্নেক। কিন্তু চোখের পলক পড়ার আগেই সাপের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসে ইঁদুর। অসম লড়াইয়ে সময় লেগেছে মাত্র ৭০০ মিলিসেকেন্ড বা ০.৭ সেকেন্ড। 

রাতের অন্ধকারে ক্যামেরায় ইঁদুরের 'নিনজা' লাথি চমকে দিয়েছে গবেষকদের। তবে বরাত জোরে ক্যাঙ্গারু ইঁদুরে জীবনরক্ষা হয়নি বলে মত সান ডিয়াগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রের। গবেষকদের মতে, এই ধরনের ইঁদুরের পায়ের থাবা বিশেষ ধরনের। আর সেই থাবাই তাদের লাফ দিতে সাহায্য করে। গবেষকদের দাবি, ক্ষণিকের মধ্যে গায়েব হয়ে যাচ্ছে ইঁদুর। এমনকি সাপের কামড় খেয়েও ইঁদুরগুলি মরছে না। গবেষকদের মতে, কিছু একটা আশ্চর্যজনক ঘটছে তবে সেটা বলতে পারব না। তবে নিশ্চিতভাবেই মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো।   

গবেষক উইটফোর্ড ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, চোখের পলক ফেলার আগেই পালিয়ে যাচ্ছে ইঁদুর। মানুষের চোখের পলক ফেলতে লাগে ১৫০ মিলিসেকেন্ড। র‍্যাটল স্নেকের মুখ দিয়ে উগরে আসে বিষ। সেই বিষ গায়ে লাগলে মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু এতটাই দ্রুত ক্যাঙ্গারু ইঁদুর যে সাপের বিষও স্পর্শ করতে পারে না তারা। 

আরও পড়ুন- বাংলায় কমছে তৃণমূল, বাড়ছে বিজেপি, ইঙ্গিত আরও একটি জনমত সমীক্ষার

.