`মালালা দিবস`পালিত, উঠল মালালাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আবেদন

আজ , শনিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হল`মালালা দিবস`। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে তালিবানি বন্দুকের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল ১৫ বছরের মালালার নরম শরীর। প্রথমে তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে লড়াই। তারপর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। কষা। দুই অসম যুদ্ধেই বিজয়ী এই পাকিস্তানি কন্যা। তার লড়াইকে স্বীকৃতি দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সচিব বান কে মুন আজকের দিনটাকে ঘোষণা করেছিলেন ` মালালা দিবস` রূপে। মালালার নামে সম্মানিত হল আসলে এই দিনটাই।

Updated By: Nov 10, 2012, 11:12 AM IST

আজ, শনিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হল`মালালা দিবস`। আজ থেকে ঠিক একমাস আগে তালিবানি বন্দুকের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত
হয়েছিল ১৫ বছরের মালালার নরম শরীর। প্রথমে তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে লড়াই। তারপর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা।
কষা। দুই অসম যুদ্ধেই বিজয়ী এই পাকিস্তানি কন্যা। তার লড়াইকে স্বীকৃতি দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সচিব বান কে মুন
আজকের দিনটাকে ঘোষণা করেছিলেন ` মালালা দিবস` রূপে। মালালার নামে সম্মানিত হল আসলে এই দিনটাই। আর এদিনই মালালাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গোটা বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশ হাজার নাগরিক।
তালিবানি মৌলবাদীদের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করেনি এই পাকিস্তানি কিশোরী। সব ফতোয়াকে অগ্রাহ্য করে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। ২০০৯-এ তার বাসভূমি সোয়াট উপত্যকা দখল করে তালিবানিরা সেখানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পিছিয়ে গিয়েছিল অনেকেই। আতঙ্কে অনেকেই বন্ধ করেছিল শিক্ষার আলোর সব কটা দরজা। সব কটা খিড়কি। কিন্তু মালালাতো এত সহজে নিজের অধিকার থেকে সরে আসেনি। ওই বছরেই বেনামে প্রকাশিত হয় মালালার একটি ব্লগ। তার ছত্রে ছত্রে প্রকাশ পায় তার পড়াশোনার করার ইচ্ছা। তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে এক কিশোরীর ক্ষোভ ভাষা পায়। প্রকাশ পায় তার সোচ্চার, এতদিনকার নিষিদ্ধ অনুচ্চারিত প্রতিবাদ। প্রকাশ পায় কীভাবে সোয়াটে মেয়েদের শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে তালিবানি শাসন। সারা বিশ্ব সামিল হয় মালালার প্রতিবাদে। কুর্নিশ জানায় তার প্রতিবাদকে।
মালালার সঙ্গে প্রথমবারের জন্য সরকারি ভাবে তালিবানি বিরোধিতায় সামিল হয় গোটা পাকিস্তান। সাময়িক পিছু হটে তালিবানরা। স্কুলে যাওয়া শুরু করে মালালা আর তার বন্ধুরা। কিন্তু চুপ করে থাকলেও আসলে থেমে থাকেনি তালিবানরা। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার `শাস্তি` স্বরূপ বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় মালালাকে। কিন্তু তাতেও থামিয়ে রাখতে পারেনি মালালাকে। মালালা কিন্তু বেঁচে আছে। শুধু তাই নয় বাঁচিয়ে দিয়েছে আরও অনেকের মরতে বসা স্বপ্নকে। জন্ম হয়েছে আরও কত মালালার। পৃথিবীতো সঙ্গে ছিলই। এখন তার সঙ্গে তার দেশ। মালালার জন্য, মালালার সঙ্গে একসঙ্গে বহুযুগ পর প্রতিবাদে সোচ্চার গোটা পাকিস্তান।
আজ সেই মালালাকেই বিশ্বের উপহার গোটা একটা দিন। তার লড়াইয়ের স্বীকৃতি। বান কি মুন নিজে জানিয়েছেন ` সারা বিশ্বের নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে মালালা নিদর্শন, অনুপ্রেরণা। মালালা বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষা মুষ্টিমেয় কয়েকজনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। নারী পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষা সবার অধিকার।``

.