কেঁপে ওঠার 'শাস্তি'-এ বছরের মত দরজা বন্ধ এভারেস্টের

কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এভারেস্ট আরোহণ ও ওই সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ বাতিল করল নেপাল সরকার। মারাত্মক তুষারধসের ফলে এভারেস্টে ওঠার পথ একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। কোনও মতেই এ বছরের মধ্যে সেই পথ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়চ, তাই বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ আরোহণ বাতিল করল নেপাল সরকার।

Updated By: May 4, 2015, 09:54 PM IST
কেঁপে ওঠার 'শাস্তি'-এ বছরের মত দরজা বন্ধ এভারেস্টের

ওয়েব ডেস্ক: কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এভারেস্ট আরোহণ ও ওই সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ বাতিল করল নেপাল সরকার। এর মানে দাঁড়াল এ বছরের বন্ধ এভারেস্ট অভিযান বন্ধ হয়ে গেল। মারাত্মক তুষারধসের ফলে এভারেস্টে ওঠার পথ একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। কোনও মতেই এ বছরের মধ্যে সেই পথ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়চ, তাই বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ আরোহণ বাতিল করল নেপাল সরকার।

ক দিন আগে নেপালে ভূমিকম্পের জেরে ভয়াবহ তুষারধস হয়। সেই তুষারধসের ফলে এভারেস্টের বেসক্যাম্পের সামনে ২২ জন পর্বতারোহী মারা যান, নিখোঁজ হয়ে যান ২১৭ জন। ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এভারেস্টের রুট কার্যত নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে, বিধ্বংসী ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরেও নেপালে অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। শেষ খবর পাওয়া অবধি প্রাণ গেছে অন্তত ৭ হাজার মানুষের। আহত ১৪ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যেই নেপালের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম-ডে তে অন্তর্জাল দুনিয়ায় শীর্ষে ট্রেন্ড করেছে #GoHomeIndianMedia। ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলি খবর সংগ্রহ করার প্রতিযোগীতায় নামতে গিয়ে 'অসংবেসদনশীল' হয়ে উঠছে। অভিযোগ প্রতিবেশী দেশের।  

এই '#'-এর অধীনে ৭০,০০০ বেশি টুইট করা হয়েছে। নেপালের মানুষদের অভিযোগ, সে দেশে ভূমিকম্পের ভয়াবহতাকে ভারতীয় মিডিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাবলিসিটি প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে ছেড়েছে। ফেসবুক, টুইটারের মত সোস্যাল মিডিয়াতে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নেপালের যুব সমাজ। ভারতীয় সাংবাদিকরা নেপাল ছাড়ুন। দাবি তাঁদের।

ভারতের সাহায্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেও মিডিয়ার বিরুদ্ধে কমছে না রাগ। অসংবেদনশীলতার পাশাপাশি উঠছে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে খবর করার অভিযোগও। নেপালীদের বক্তব্য ভারতীয় মিডিয়ার কভারেজ দেখে মনে হচ্ছে 'রগরগে টেলি সোপ চলছে।' 

.