সিরিয়ায় সেনা অভিযানে অনড় বারাক ওবামা

সিরিয়ার নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযানে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন কংগ্রেস ও জনগনকে পাশে পেতে এবার গণমাধ্যমকে হাতিয়ার করছেন তিনি। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের রাসয়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হিসাবে আজ একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। 

Updated By: Sep 8, 2013, 10:47 PM IST

সিরিয়ার নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযানে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন কংগ্রেস ও জনগনকে পাশে পেতে এবার গণমাধ্যমকে হাতিয়ার করছেন তিনি। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের রাসয়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হিসাবে আজ একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। 
আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পাননি, সমর্থন মিলছে না সেনেটেরও, তবুও হাল ছাড়তে রাজি নন বারাক হুসেন ওবামা। সিরিয়াতে নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযানের লক্ষ্য থেকে এখনই সরছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বরং স্ট্রাটেজি বদলে ওবামা এবার পাশে পেতে চাইছেন দেশের জনগনকে। সেই লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতিয়ার রেডিও ও টেলিভিশন। দেশের জনগনের উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় রবিবার নিয়ন্ত্রিত সেনা অভিযানের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন ওবামা।
আগামিদিনে জনসমর্থন জোগাড়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তৃতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট যখন জনসংযোগের ওপর জোর দিচ্ছেন, তখন হাত গুটিয়ে বসে নেই তাঁর ক্রাইসিস ম্যানেজাররাও। শনিবারই মার্কিন প্রশাসনের তরফে সিরিয়ায় রাসয়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হিসাবে একটি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। ফুটেজটি শিগগিরি ডিভিডি-র আকারে সেনেটরদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির প্রধান ডায়ানা ফেইনস্টেন। সেনেটরদের সমর্থন জোটাতে ফুটেজ বড় হাতিয়ার হবে বলে মনে করছে মার্কিন সরকার। 
ফুটেজের পাশাপাশি, সিরিয়া সরকারের রাসয়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে জোরালো তথ্য সামনে এসেছে রবিবার। ব্রিটিশ সংবাদপত্র সানডে টাইমে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরোধী এক নেতার দাবি, অগস্টের ২১ তারিখ রাসয়নিক অস্ত্র হামলায় নিহত তিনজনের দেহে মারাত্মক সারিন গ্যাসের নমুনা মিলেছে। সেদিনের হামালায় আহত বেশকয়েকজনকে গোপনে বিট্রেনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে, আরব দুনিয়াকেও পাশে পেতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 
আগামী সপ্তাহেই প্যারিসে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি। সেখানে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার পাশপাশি, সিরিয়া প্রসঙ্গ বড় করে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
 
 

.