হাফিজ সইদকে নিয়ে রাতারাতি ইউ-টার্ন পাকিস্তানের

হাফিজ সইদকে নিয়ে রাতারাতি ইউ-টার্ন পাকিস্তানের। জেহাদের নামে  সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে  সইদ ও তার সঙ্গীরা। লস্কর প্রধানকে আটক  নিয়ে জুডিশিয়াল বোর্ডকে এই যুক্তিই দিল পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক। এক সময়ের পাক সেনা এবং ISI ঘনিষ্ঠ সইদকে গত জানুয়ারি মাসে আটক করে পাক প্রশাসন। সেই থেকেই গৃহবন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড। লস্কর-ই-তৈবার প্রধান। পাক ভুখণ্ডে দাঁড়িয়ে লাগাতার ভারত বিরোধী বিষোদ্গার করেছেন অবলীলায়।  যার তৈরি জেহাদি নেটওয়ার্কর সাহায্যে কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরির ছক করেছিল পাকিস্তান। সেই হাফিজ সইদই এখন পাকিস্তানে কোণঠাসা।পাকিস্তানে রীতিমত VVIP হাফিজ সইদ। ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে বার বার হুমকি দিয়েছেন ভারতকে। দেখেও দেখেনি ইসলামাবাদ। কিন্তু নাটকীয় পট পরিবর্তন গত জানুয়ারিতে। তখন সদ্য ওভাল অফিসে পা রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ওয়াশিংটন। হয় ঘরোয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নাহলে নিষেধাজ্ঞা। এরপরই নড়েচড়ে বসে শরিফ প্রশাসন।

Updated By: May 14, 2017, 10:27 PM IST
 হাফিজ সইদকে নিয়ে রাতারাতি ইউ-টার্ন পাকিস্তানের

ওয়েব ডেস্ক: হাফিজ সইদকে নিয়ে রাতারাতি ইউ-টার্ন পাকিস্তানের। জেহাদের নামে  সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে  সইদ ও তার সঙ্গীরা। লস্কর প্রধানকে আটক  নিয়ে জুডিশিয়াল বোর্ডকে এই যুক্তিই দিল পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক। এক সময়ের পাক সেনা এবং ISI ঘনিষ্ঠ সইদকে গত জানুয়ারি মাসে আটক করে পাক প্রশাসন। সেই থেকেই গৃহবন্দি মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড। লস্কর-ই-তৈবার প্রধান। পাক ভুখণ্ডে দাঁড়িয়ে লাগাতার ভারত বিরোধী বিষোদ্গার করেছেন অবলীলায়।  যার তৈরি জেহাদি নেটওয়ার্কর সাহায্যে কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরির ছক করেছিল পাকিস্তান। সেই হাফিজ সইদই এখন পাকিস্তানে কোণঠাসা।পাকিস্তানে রীতিমত VVIP হাফিজ সইদ। ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে বার বার হুমকি দিয়েছেন ভারতকে। দেখেও দেখেনি ইসলামাবাদ। কিন্তু নাটকীয় পট পরিবর্তন গত জানুয়ারিতে। তখন সদ্য ওভাল অফিসে পা রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দেয় ওয়াশিংটন। হয় ঘরোয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নাহলে নিষেধাজ্ঞা। এরপরই নড়েচড়ে বসে শরিফ প্রশাসন।

আরও পড়ুন সঙ্গী পুলিসকর্মীর জীবন বাঁচাতে নিজে গুলি খেল কুকুর

৩০ জানুয়ারি হাফিজ সইদ ও তার ৫ সঙ্গীকে আটক করে লাহোর পুলিস। সন্ত্রাসদমন আইনে  ৫ জনকে গৃহবন্দি করা হয়।৩০ এপ্রিল সইদ ও তার সঙ্গীদের গৃহবন্দি রাখার মেয়াদ ৯০ দিন বাড়ানো হয়।লাহোর হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, ৫ অভিযুক্তকে রিভিউ বোর্ডের সামনে হাজির না করে কেন বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হল।এরপরই লাহোর হাইকোর্টে ৩ সদস্যের জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ডে হাজির করা হয় সইদকে। শুনানিতে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক সওয়াল করে, জেহাদের নামে পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন সইদ এবং তাঁর সহযোগীরা। রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের চাপেই জামাত উদ দওয়ার নেতাদের আটক করা হয়েছে।পাক প্রশাসনের নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে সইদ পাল্টা অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবি এবং এক্ষেত্রে পাক সরকারের দুর্বল নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে এবংতাঁর সংগঠনকে নিশানা করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশিকায় আটক করার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল না। আমেরিকা এবং ভারতকে খুশি করতে এই পদক্ষেপ করেছে পাক সরকার।সইদকে আটক রাখা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছে জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ড। পরবর্তী শুনানিতে পাক অ্যাটর্নি জেনারেলকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন  পরমাণু মিসাইল উতক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার, নিন্দায় সরব বিশ্ব

.