ভারতকে টক্কর দিতে চিনা প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান

পাকিস্তানের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্ত থাকলেও মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষে উপগ্রহ উত্ক্ষেপণের প্রযুক্তিও এখনো তৈরি করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। এহেন পাকিস্তান কী ভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।

Updated By: Oct 27, 2018, 11:02 AM IST
ভারতকে টক্কর দিতে চিনা প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতকে টক্কর দিতে এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করল পাকিস্তান। পাক তথ্য মন্ত্রী ফুয়াদ চোধরি জানিয়েছেন, ২০২২ সালেই মহাকাশে মানুষ পাঠাবে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, চিনা প্রযুক্তির সাহায্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে পাকিস্তান। 

গত ১৫ অগাস্ট লালকেল্লার পাঁচিল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এর পরই কোমর বেঁধে নামে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে ২০২২-এর আগেই মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এরই মধ্যে পাকিস্তানের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ঘোষণা ছয়ের দশকের স্পেস রেসকে মনে করিয়ে দিল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

পাকিস্তানের মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্ত থাকলেও মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষে উপগ্রহ উত্ক্ষেপণের প্রযুক্তিও এখনো তৈরি করে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। এহেন পাকিস্তান কী ভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, চিনা প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার পাক ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়েছে। 

কান্না থামাতে ১ মাসের পুত্রসন্তানকে জলে চুবিয়ে মারলেন মা

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আগামী ৩ নভেম্বর প্রথমবারের জন্য চিন সফরে যাচ্ছেন ইমরান খান। সেই সফরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

বলে রাখি, মহাকাশ গবেষণার জন্য পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ কোনও সরকারি সংস্থাও নেই। পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন এখনো মহাকাশ গবেষণায় তেমন কোনও সাফল্য পায়নি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশ্বমঞ্চে নিজেকে ভারতের সমকক্ষ প্রমাণের জন্য চিনের সঙ্গে চুক্তি করছে পাকিস্তান। পাক - চিন বন্ধুত্বের যা আরেক মাইলস্টোন হতে চলেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। 

.